মুক্তকথা, লন্ডন: বিগত ২২ মে মানচেষ্টারে আমেরিকান পপ শিল্পী এরিয়ানা গ্রান্ডের অনুষ্ঠানে লিবিয় যুবকের আত্মঘাতী বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনা ও তার প্রতিক্রিয়ায় প্যালেষ্টাইনের স্বাধীনতায় কি কোন বিরূপ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে এ নিয়ে ‘ডেমোক্রেসি নাউ’ টিভি চ্যানেলটি একটি নতুন ছুঁতো বের করেছে। তাদের মতে এ ঘটনায় প্যালেষ্টাইনীদের অতীতের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কথা নতুন করে মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেবে। এর ফলে ইসরাইলের সাথে মারামারিতে এবং বিভিন্ন সময় ইসরাইলী আক্রমণে নিহত প্যালেষ্টাইনীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টি বাধাগ্রস্থ হতে পারে। কারণ মানচেষ্টারের আত্মঘাতি বিষ্ফোরণটি না-কি আমেরিকানদের কাছে বর্তমানে একটি ‘বিগইস্যু’! যদি হয়েও থাকে তা’হলে কিভাবে তা প্যালেষ্টাইন স্বার্থে জড়িত, ‘ডেমোক্র্যাসি নাউ’ তা সুস্পষ্ট করতে পারেননি বলে আমরা মনে করি।
আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় মানচেষ্টারের বোমা হামলার দায় যেখানে স্বীকার করেছে আইএসআইএস সেখানে এ বিষয়টি কেনো এবং কিভাবে প্যালেষ্টাইনের বিগত কাজের সাথে সম্পর্কীত হতে পারে! ‘ডেমোক্রেসী নাউ’ টিভির এই প্রচারণা মূলতঃ কোন উদ্দেশ্যে তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয় বরং আমরা মনে করি তাদের এ প্রচারণা হেতুহীনভাবেই প্যালেষ্টাইনীদের বিরুদ্ধে।
মানচেষ্টারের ঘটনায় যে আইএসআইএস দায় স্বীকার করেছে সেই আইএসআইএস এর জন্মদাতা হলো ওয়াশিংটনের ক্ষমতাশীনরা। এ বিষয়টিতো দুনিয়াকে মাইক বাজিয়ে শুনাবার প্রয়োজন নেই। গোটা বিশ্ব এ বিষয়ে খুবই অবহিত আছে। এর পরেও ‘ডেমোক্রেসী নাউ’ কি যুক্তিতে এই প্রশ্নের অবতারনা করতে পারেন তা আমাদের অবোধগম্য না হলেও কূটকৌশলে প্রকাশ্যে এভাবে মিথ্যার অবতারণা একটি খ্যাতিমান গণমাধ্যম করতে পারে তা আমাদের জানা ছিলনা।