মানুষ যেখানে বেশী ভরসা পায় সেখানেই যায়। এটি মানবাত্মার আদিম প্রকৃতি। কিন্তু সেই ভরসাস্থলেই যদি অসাধু কাজ চলে, মানুষের মনে স্থান করে নেয়া নির্লোভ নিরব ভরসার সে স্থান যদি কলুষিত হয়ে যায়, তখনই মানুষের সুন্দর পথচলাকে রুদ্ধ করে দেয়া হয়। মানুষ নৈরাশার অন্ধকারে পড়ে গুমড়ে কাঁদে। আর তেমনি নৈরাশ্যজনক একটি ঘটনা ধরা পড়ে বিগত ২০১৬-১৭ সালে, বৃটেনের অন্যতম বৃহৎ বিপণী ‘টেকসো’কে কেন্দ্র করে। মেয়াদ চলে যাওয়া দ্রব্যসামগ্রী বিক্রির জন্য অন্যতম এই বিপণী ‘টেসকো’কে সাড়ে ৭ মিলিয়ন পাউণ্ড জরিমানা গুণতে হয়েছে আজ। জরিমানা করেছে বৃটেনের একটি আদালত। টেসকো, বৃটেনের সবচেয়ে বড় বিপণীদের একটি। এখন থেকে প্রায় ১১ ঘন্টা আগে বিবিসি এ খবর প্রকাশ করেছে। আইন ভঙ্গের মাধ্যমে দূর্ণীতির এমন দূর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬-১৭ সালে বার্মিংহামের ৩টি টেসকো দোকানে। আর এ অপরাধের জন্য সাড়ে ৭ মিলিয়ন পাউণ্ড জরিমানা দিতে হয়েছে ব্যবসাটিকে। এ বিষয়ে টেসকো বলেছে, যখনই তারা দেখেছেন মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া জিনিষ দোকানে বিক্রির জন্য রাখা আছে সাথে সাথেই তারা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। বার্মিংহাম মেজিস্ট্রেট কোর্ট গত সোমবার টেসকো-এর বিরুদ্ধে আনীত এ অভিযোগের রায় দেন। মামলার ওই রায়ে মামলার খরচ(প্রসিকিউশন খরচ) বাবদ আরো ৯৫হাজার ৫শত পাউণ্ড বাড়তি দেয়ার কথা বলা হয়। টেসকো দোকান কর্তৃপক্ষও আদালতে তাদের দোষ স্বীকার করে বলেন যে তারা দেশের ‘খাদ্য বিশুদ্ধতা ও নিরাপত্তা’ বিধির ২২টি নিয়ম ভঙ্গ করেছেন এবং জরিমানার টাকা আদালতে পেশ করেন। খাবার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া এসব খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে যেসব ছিল সেগুলো হলো- পিজা, ডাফবল, সোপ; শুকর পেটের মাংসের পাতলা অংশ, আলুর সালাদ, ট্রিফুল; বিভিন্ন স্বাদের দুধ, স্কচ ডিম, কুইচ লরেইন; বাচ্চাদের খাবার, মোরগ ও সব্জি রিসটো এবং পাস্তা বলোনেইজ প্রভৃতি। |