মানুষ কেমন করে এমন পাষণ্ড হয়? কেমন করে নিজের ভালবাসার মানুষটিকে মেরে ফেলতে পারে! প্রেমের অভিনয় করে কোনো সুন্দরী তরুণীকে ব্যবহার করে পরে মেরে ফেলতে হবে? মানব হৃদয়ের কোন সে স্থানে সেই পশুটি লুকিয়ে থাকে যা তার চেহারায় বা আচরণে প্রথমতঃ ধরা পরেনা। তরুণী মুনিয়া কি অপরাধ করেছিল যে তাকে এমনভাবে জীবন দিতে হলো। দেশ কিংবা সমাজ কি এর উপযুক্ত জবাব দেবে? সুন্দরী মুনিয়ার করুণ জীবন পরিণতির সে কাহিনী গতকাল বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করেছে দৈনিক ইত্তেফাক। তরুণী মুনিয়া কুমিল্লার মনোহরপুর এলাকার উজির দীঘির পাড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত সফিকুর রহমানের মেয়ে। সে কুমিল্লার নজরুল এভিনিউ এলাকার মডার্ন উচ্চবিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে এবং পরে রাজধানীর মিরপুর মণিপুরী স্কুল এণ্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করে। সাংবাদিকদের সাথে মুনিয়ার বড়বোন নুসরাত জাহানের আলাপ উদৃত করে সংবাদ মাধ্যমটি আরো লিখেছে যে, দু’বছর আগে থেকে এক শিল্পপতির(শিল্পপতির নাম উল্লেখ করা হয়নি) সাথে মুনিয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক কিছু হয়েছিল। পরে তিনি তার বোনকে আলাপকরে বুঝিয়ে নিজের কাছে কুমিল্লায় নিয়ে আসেন এবং বেশ কিছু দিন তার কাছেই ছিল। মাস দু’এক আগে ওই শিল্পপতি তার বোনকে অনেক ভালবাসে, সে তাকে বিয়ে করবে এমন কথা ও নানা নমুনায় প্রলোভন দেখাতে শুরু করে। ওই শিল্পপতি তাকে বাইরে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করবে এমনসব কথা বলে। তার কথায় তরুণী মুনিয়া বিশ্বাস করে আবার ওই শিল্পপতির কাছে ফিরে যায়। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে ওকে বিয়ের কথা বলায় তাদের মধ্যে আবারো মনোমালিন্য হয়। মুনিয়া তার বোন নুসরাত জাহানকে ফোন করে বলে-“আমাকে মেরে ফেলবে। আমাকে ধোঁকা দিয়েছে। আপু তুমি তাড়াতাড়ি ঢাকায় চলে আসো, আমার অনেক বড় বিপদ। আমার যেকোন সময় একটা দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।” ওই দিনই তার বোন নুসরাত জাহান ঢাকায় গিয়ে বোনের ঘরের দরজা তালাবদ্ধ দেখে বাড়ীর মালিককে ডেকে ঘরের তালা ভেঙ্গে মুনিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। ওই বাসায় সেই শিল্পপতির আসা-যাওয়ার সিসিটিভি’র ফুটেজ ও ৪টি ডায়েরী পুলিশ নিয়েছে। শেষমেষ, মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান ও ভাই আশিকুর রহমান প্রধান মন্ত্রীর কাছে তাদের বোনের এমন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে আরজি দিয়েছেন। |