এদিকে রাজনগর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিস এক আদেশে বলা হয়েছে সৈয়দনগর ও দক্ষিণ চাটুরা সার্বজনীন দুর্গামন্ডপে এপিসি হিসেবে মোঃ ছাবুল মিয়া, সদস্য হিসেবে করুনা মালাকার, চায়না বেগম ও হাজেরা বেগম দায়িত্ব পালন করবেন। তালিকায় দেয়া চায়না বেগমের মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তার স্বামী মুহিত মিয়া ফোন রিসিভ করে জানান, চায়না ও হাজেরা কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা দুজনই চাকুরির জন্য রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর গ্রামের আদরকে ৫’শ টাকা করে ঘুষ দিয়েছেন। তালিকায় দেয়া চায়না বেগমের মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে রিসিভ করেন আব্দুর রকিব। তিনি চায়না বেগম নামে কাউকে চিনেননি বলে প্রতিবেদককে জানান। আব্দুর রকিব রাজনগর উপজেলার সুজিত মালাকারের বাড়িতে দায়িত্ব পালন করছেন।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সৈয়দনগর ও দক্ষিণ চাটুরা সার্বজনীন দুর্গামন্ডপে এপিসি হিসেবে মোঃ ছাবুল মিয়া’র সাথে মসুদ, সুরমা ও কামাল নামের ৩জন দায়িত্ব পালন করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এমন চিত্র পুরো জেলার।
একাধিক এপিসি ও আনসার সদস্য শারদীয় দূর্গাপূজার আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার চাকুরিতে ঘুষ দেয়ার কথা স্বীকার করে প্রতিবেদককে বলেন, নির্বাচন এবং অন্যান্য ডিউটিতেও নাম ঢুকানোর জন্য অফিসে ঘুষ দিতে হয়।
নাম গোপন রাখার শর্তে রাজনগর উপজেলার এক ইউপি সদস্য বলেন, “আমার ইউনিয়নের প্রত্যেক আনসার সদস্যের কাছ থেকে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসের স্টাফরা ৫’শত টাকা ঘুষ নিয়েছে এবং ৪জনের জায়গায় ২জন দিয়ে দায়িত্ব পালন করানো হয়েছে। অন্য এক ইউপি সদস্য বলেন, আমার ওয়ার্ডের মন্ডপে ৪জনের জায়গায় ১জন দায়িত্ব পালন করেছেন এবং প্রত্যেক আনসার সদস্যের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করা হয়েছে।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ড্যান্ড মোঃ সেফাউল হোসেন বলেন, আনসার সদস্যদের কাছ থেকে যারা ঘুষ আদায় করেছেন তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
|