মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।। যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মৌলভীবাজারে মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে, রাজনৈতিক, সামাজিক, স্কুল কলেজ ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পন, প্রভাত ফেরী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান।
দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। শুরুতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসীন এম,পি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, শিল্পকলা , শিশু একাডেমী, আওয়ামীলীগ, বিএনপি, রেড ক্রিসেন্ট, সাংস্কৃতিক জোট, প্রেসক্লাব, পাবলিক লাইব্রেরী, হামদর্দ সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। রাতে শিশুরা হাতে প্ল্যাকার্ড, লাল সবুজ পতাকা বহন করে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায় ভাষাশহীদদের প্রতি।
সকালে প্রভাত ফেরির পর থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন স্থানীয় সরকারী স্কুল প্রাঙ্গনের শহীদ মিনার স্থলে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে। এ দিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে শিশু একাডেমীর আয়োজনে কবিতা আবৃত্তি, সুন্দর হাতের লেখা, দেয়াল লিখন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। রাতে সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে রাজনগর উপজেলার বেড়কুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে স্থানীয় শহিদ মিনারে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে প্রভাত ফেরি খেয়াঘাটবাজার ও পশ্চিমবেড়কুড়ি প্রদক্ষিণ করে। প্রভাত ফেরিতে শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহনে “মহান একুশে ফেব্রুয়ারী অমর হউক”, “শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে জালো”, “মা বোনদের বলে যাই সব শিশুকে স্কুলে চাই” এই স্লোগানে মূখরিত হয়ে উঠে গ্রামীন এই জনপদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনসুর উদ্দিন, প্রধান শিক্ষখ আব্দুল হাই, সহকারি শিক্ষক আব্দুল আহাদ রুমন, মোঃ ছাতির মিয়া, মুফাজ্জল হোসেন, সুমন চন্দ্র দাশ, ফাহিমা বেগম, তাছলিমা বেগম, আল ইমরান ও মৌলভীবাজার জেলা সাংবাদিক ফোরামের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ। স্কুলের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জাকির হোসেন ও পিপলি আক্তার দিবসটির তাৎপর্য বুঝাতে গিয়ে জানায়, সকালে স্কুলে এসে আমরা সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহিদ মিনার নির্মাণ করে ফুল দেই। পরে সবাই মিলে মিছিলে ফিরে যাই। এটা করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।