মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের আগনসী গ্রামে তানিয়া আক্তার রেলেনা(২০) নামে এক যুবতী গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত যুবতীর পাশে একটি চিরকুট পায় তার পরিবারের লোকজন। মৃত যুবতী আগনসী গ্রামের মৃত আহাদ মিয়ার মেয়ে। গত ১৩ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে নিজ ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁছানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তানিয়াকে স্থানীয়রা। তাকে তারা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসেন, হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষনা দেন।
সদর থানার পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। মৃত তানিয়ার পরিবারের লোকজন পুলিশের কাছে একটি চিরকুট দেয়। তাহাদের কথা, এই চিরকুট মৃত তানিয়ার হাতের লিখা। তাতে লিখা ছিল- “বাভুল আমার জীবন নষ্ট করে দিছে আর কেউ নেই মোবাইলে রেকট আছে দেক” মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি সুহেল আহমদ জানান মৃতের সাথে সুইসাইড লিষ্ট উদ্ধার করা হয়েছে। এই চিরকুট মৃত তানিয়ার হাতের লিখা কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে নিয়মিত মামলা দায়ের হবে।
যুবতী তানিয়ার এ মৃত্যু আমাদের, অনেক কিছুর দিকেই ইশারা দেয়। প্রথমতঃ আমাদের পুরনো ধ্যান ধারনার সমাজের বিষয়ে এ চিরকুট এক বলিষ্ট প্রতিবাদ। কোন খোঁজ খবর না নিয়েই সম্পূর্ণ অনুমান থেকে বলা যায় যে, অল্প শিক্ষিত তানিয়া কোন এক বাভুলের সাথে সখ্যতায় জড়িয়ে পড়ে। যা, তানিয়ার এ বয়সে খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু এই জড়িয়ে পড়াকে আমাদের অন্ধ বধির ধর্মান্ধ সমাজ ব্যবস্থা কোন ভাবেই মেনে নেয় না। দ্বিতীয়তঃ হয়তো বাভুল তানিয়ার সাথে মিথ্যে ভালবাসার খেলা খেলেছে। শেষমেষ তানিয়াকে ধোকা দিয়েছে। ফলে এক পর্যায়ে তানিয়া সমাজের ভয়ে আত্মহত্যার এ পথ নিতে বাধ্য হয়েছে। এটি সম্পূর্নটাই আমাদের অনুমান। আজ যদি আমাদের সমাজ তানিয়া-বাভুলের এ সম্পর্ককে সহজভাবে নিত এবং সংঘটিত কোন অনৈতিকার সুবিচারের দায়ীত্ব সরকার নিত, তা’হলে কি তানিয়া মৃত্যুর পথ বেচে নিতো? নিশ্চয়ই না।
আমরা আশা করবো দ্বায়ীত্বপ্রাপ্ত ও সংশ্লিষ্ট মানুষজন এ অপ্রিয় অবাঞ্চিত মৃত্যু ঘটনার জট খুলতে সক্ষম হবেন এবং কি কারণে তানিয়া মৃত্যুকে বেচে নিলো মূল সে ঘটনা জনসমক্ষে নিয়ে আসবেন। সংবাদসূত্র- মামুন রশীদ মহসিনের যোগাযোগ মাধ্যম