মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার মিতার সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা গাড়িতে করে যাচ্ছেন বিয়ের অনুষ্ঠানসহ নানা ব্যক্তিগত কাজে। এ নিয়ে জেলা জুড়ে চলছে সমালোচনা।
জানা যায়, রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার মিতা গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রশিক্ষণে রয়েছেন। এ সুযোগে তার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিনা অনুমতিতে সরকারি প্রাধিকারভূক্ত গাড়িটি নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। বিভিন্ন সময় গাড়িতে করে ঘুরতে দেখা যায় তাদেরকে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: ইকতার আলী রাত ৮টায় তার বাসার সামনে গাড়ি নিয়ে উপস্থিত থাকতে চালক হোসেন আহমদকে বলেন। সেখানে গাড়ি নিয়ে গেলে ইকতার আলী নিজের স্ত্রী-সন্তান ও অফিসের কয়েকজন কর্মচারীকে নিয়ে মৌলভীবাজার শহরের শমসেরনগর রোডের মৌলভী শাদীমহল কমিউনিটি সেন্টারে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। ইউএনওর অনুপস্থিতিতে রুটিন দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা আক্তারকেও গাড়িটি ব্যবহারের বিষয়ে জানানো হয়নি। সরকারি গাড়িটি এভাবেই বিভিন্ন সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। সরকারি কর্মকর্তার গাড়ি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা যথেচ্ছ ব্যবহারের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করছেন জেলার সচেতন মহল।
উপজেলা পরিষদের গাড়ি চালক সংযুক্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ি চালক হোসেন আহমদ বলেন, ওইদিন অফিসের ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর কৃষ্ণ পদ দাসের মেয়ের বিয়ে ছিল। বিয়েতে গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম। এখানে আমার কোনো দোষ নেই। আমাকে ইকতার সাহেব গাড়ি নিয়ে থাকতে বলেছেন। আমি ভেবেছি ইউএনও স্যার উনার কাছে বলেছেন আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তাই আমি গিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: ইকতার আলী’র ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে প্রতিবেদকের পরিচয় জেনেই তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরবর্তীতে প্রতিবেদক কয়েক বার কল দিলেও ইকতার রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে জানতে রাজনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা আক্তার এর ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল নম্বরে রোববার ও সোমবার দুই দিন একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।