আঁধার কেটে যাবে, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়ই
সগর্বে মাথা উঁচু করে থাকবে।
বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে যখন বাংলাদেশ, ঠিক তখনই দেশীয় রাজাকার আলবদর আল শামস বাহিনী, হত্যা করেছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। সেই আলোর দিশারীদের হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতিস্বত্বা বিনির্মাণের পথে এক অন্ধকার এঁকে দিয়েছিল তারা। বাংলাদেশে সে ধারাবাহিকতা আজ ও চলমান রয়েছে, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় বক্তারা এমন বক্তব্য রাখেন।
১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে, ১৯৭১ সালের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে প্রতিবছরের মত লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, যুক্তরাজ্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে।
যুক্তরাজ্য কমিটির সভাপতি সৈয়দ আনাস পাশার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুনিরা পারভীন এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌছ সুলতান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, কবি হামিদ মোহাম্মদ, কবি শামীম আজাদ, শহীদ মিনার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মারুফ চৌধুরী, মানিবাধিকার কর্মী আবদুল আহাদ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সৈয়দ এনাম, গোলাব আলী, জাসদের মুজিবুল হক মনি, নজরুল ইসলাম অকিব, সহ সভাপতি জামাল আহমদ খান, আমরা একাত্তরের স্বপন চক্রবর্তী, কাউন্সিলর পুষ্পিতা গুপ্তা, কাউন্সিলর অজন্তা দেব রায়, সহ সভাপতি স্মৃতি আজাদ, সহ সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রাজ, সহ সাধারণ সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, বাতিরুল হক সরদার, উর্মি মাযহার, কোষাধ্যক্ষ এনামুল হক এনাম, এনামুল হক জুবের, শাহাব উদ্দীন বাচ্চু, এডভোকেট রুমানা, এফ টি জিনিয়া, শফিকুর রহমান, আহমদ ফখর কামাল, এডভোকেট আনিছুর রহমান আনিছ, সুয়েজ মিয়া, কিবরিয়া আহমদ, জয়নাল আবেদিন ও হেলাল আহমদ।
আলোচনায় বারবার বক্তারা বলেন, যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, ৭১ এর পরাজিত শক্তি, বারবার সেই চেতনায় আঘাত হেনেছে, বাংলাদেশের মানুষ সেই আঘাত ব্যার্থ করে দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শই জয়ী হয়েছে। আমরা ব্যর্থ হয়েছি ঘাতকদের সাজা নিশ্চিত করতে, আমরা ব্যার্থ হয়েছি এদের চিহ্নিত করতে। তাই এই পরাজিত শক্তি বারবার ফিরে ফিরে আসছে। মুক্তিযুদ্ধই বাংলাদেশের চেতনা। মুক্তিযুদ্ধই বাঙালির আত্মপরিচয়। আশ্বাসের সুর তুলে বক্তাগন বলেন- ‘আঁধার কেটে যাবে, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়ই সগর্বে মাথা উঁচু করে থাকবে।’
বাংলাদেশে উন্মত্ত জনহিংস্রতা(মব ভায়োলেন্স)র অবসান চেয়ে
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি
বাংলাদেশে মব ভায়োলেন্স, অন্যায়-অনিয়ম, দেশব্যাপী সহিংসতা এবং ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থান, সংখ্যালঘু নির্জাতন ও সাধারন মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার দাবী জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করেছে “এনআরবি রাইট ইন্টারন্যাশনাল ইউকে” নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন।
১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস ১০নং ডাউনিং ষ্ট্রীটে স্মারকলিপিখানা পৌঁছেদেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, সেক্রটারী শাহ মুস্তাফিজুর রহমান বেলাল, ইয়াছিন সুলতানা পলিন ও কিটন শিকদার।
স্মারক লিপিতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজী দৈনিক ডেইলী ষ্টার এর প্রতিবেদন এবং নির্জাতিত মানুষের উদৃতি দিয়ে বলা হয় চলতি বছরের ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তরবর্তিকালীন সরকারের অধীনে, প্রতিদিনই চলছে দেশব্যাপী উন্মত্ত জনহিংস্রতা(মব-জাষ্ট্রিজ), দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধর্মালম্বী ও ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মুসলিম সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুর উপর চলছে নিপীড়ন নির্যাতন। সমগ্র দেশে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মিসহ বিভিন্ন পেশাজীবিরাও নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছে। কয়েক হাজার পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। চিহ্নিত ক্রিমিনাল এবং সাজাপ্রাপ্তদের মুক্ত করে দিয়েছে সরকার। মিথ্যা মামলায় কোন ওয়ারেন্ট ছাড়াই অসংখ্য মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে সাধারণ মানুষসহ পাহাড়ি উপজাতিরাও।
উগ্রবাদিরা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে অভিন্ন ধর্ম বর্ন ও জাতি গোষ্ঠীর মানুষদের। এমন অবস্থাতে পুলিশও কোন মামলা বা সহযোগিতায় সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারছেনা। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায়ও নিরাপত্তা বাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে স্তিমিত করে রাখা হয়েছে। স্মারকলিপিতে বাংলাদেশের ব্যাপারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।