ঢাকা, বুধবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪২৩।। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, সরকার সুন্দরবন রক্ষায় এবং দেশের দ্রুত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার কক্ষে প্রোগ্রেসিভ ইঞ্জিনিয়ার আয়োজিত ‘জীবাষ্ম জ্বালানি এবং পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। (সংবাদ বাসস অনলাইনের)
মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন রক্ষা সরকারের সর্বোচ্চ গুরুত্বে রয়েছে এবং প্রশাসন সুন্দরবন রক্ষায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, সুন্দরবন বাংলাদেশে বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমে পরিবেশগত সহায়তা দিচ্ছে। এটি ‘সিডর’ ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে ‘স্টোর্ম বাফার’ হিসেবে কাজ করেছে। তবে তার মানে এই নয় যে, আমরা ‘স্টোন এজে’ বেঁচে থাকবো। আমাদেরকে আমাদের নাগরিকদের জন্য খাদ্য ও চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মন্ত্রী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের উল্লেখ করে বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই টক্সেস ও নোজেস শোষণ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কার্বন ও নাইন্ট্রোজেন গ্যাস শোষণ করতে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চার পাশে সবুজ বেষ্টনী করা হবে, যাতে প্রকৃতি টক্সেস ও নোজেসের মতো গ্যাস শোষণ করে নিতে পারে। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, কয়লা ব্যবহার কোনো সমস্যা নয়। সমস্যাটি প্রযুক্তি ব্যবহারে। আমরা ‘স্টেট অব দ্য আর্ট’ প্রযুক্তি ব্যবহার করবো।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে বায়ু দূষণের উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মান্ধাতা আমলের প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এটি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি নিউইয়র্ক সিটিতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উল্লেখ করে বলেন, এখানে সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করায় বায়ু দূষণ হচ্ছে না। তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, বাংলাদেশে ভবিষ্যতে যে কোনো প্রকল্পে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। তিনি ‘টেকনিক্যাল’ লোকদের নিয়ে একটি টিম গঠন করতে ইঞ্জিনিয়ারদের অনুরোধ জানিয়ে রামপাল প্রকল্পটি মাঠপর্যায়ে তদন্ত করে এর পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন করার পরামর্শ দেন।
সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. এম হাবিবুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।