বহমানকালের বিচারে আর মৌলভীবাজারের প্রেক্ষাপটে সৈয়দ শাহাবুদ্দীন এখন প্রবীনদের কাতারের মানুষ। বয়সের বিবেচনায় তার বিস্তৃত পর্যবেক্ষনী অভিজ্তা রয়েছে। গতকাল শনিবার ১০ জুলাই আমার ছোট্ট কুঠুরিতে বসে কাজ করছি এমন সময় আমার মোবাইল ফোনের ‘ওয়াটস এপ’এ শব্দ হলো। চোখ দিতেই দেখলাম সৈয়দ শাহাবুদ্দীন। বেশ অনেকক্ষন আলাপ হলো মৌলভীবাজারের রাজনীতি, সমাজনীতি ও সংস্কৃতি নিয়ে। তিনি খুব উৎসাহ প্রকাশ করলেন সাংবাদিকতায় অংশ নেয়ার বিষয়ে। এ নিয়ে অনেক আলাপ হলো। তার দৃষ্টিভঙ্গিতে মৌলভীবাজারের সাংবাদিকতা ঝিমিয়ে পড়েছে। বেশীর ভাগ সাংবাদিকই সাংবাদিকতার আড়ালে বিজ্ঞাপনের ব্যবসায় জড়িত। দেশের জাতীয় সংবাদপত্রসহ সকল অনলাইন অফলাইন কিংবা গণমাধ্যমগুলোও ওই একই কাতারে থেকে বাঁশী বাজিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রেস কাউন্সিল মনে হয় তাদের দায়ীত্ব ভুলেই গেছেন। ইদানিং জাতীয় প্রেস কাউন্সিলের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় না। ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক আলোচনা হলো। আলাপের ফাঁকে ফাঁকে তিনি তার লিখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেন। আমি খুবই আন্তরিকভাবে তাকে বললাম যে ঠিকইতো, এখনইতো আপনার আমার লিখার সময়। এ বয়সে পৌঁছে এখন জেল-জুলুম বা ভয়ভীতিতে চললে তো হবে না। যা সত্য মনে করবেন লিখবেন। সম্ভবতঃ সে উৎসাহ থেকেই আজ নিচের পংক্তিমালা রচনা করে তার ফেইচবুকে প্রকাশ করেছেন আর আমাকেও ‘টেগ’ করেছেন। কোন রচনা প্রকাশ হয়েগেলে পুনঃমুদ্রনে বেশ আইনী জঠিলতা তৈরী হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তারপরও তার সেই পঙতিমালা নিচে হুবহু প্রকাশ করলাম। -সম্পদাক
“সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা”। একজন সাংবাদিক দেশ ও সমাজের জন্য “শব্দ ও কন্ঠসৈনিক” হিসেবে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। তাঁর মধ্যে থাকতে হবে বলিষ্ঠতা ন্যায়-নীতি। তাকে থাকতে হবে লোভ-লালসা এবং তোষামোদীর উর্ধে। সাংবাদিকগন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম নীতি, সততা ও দায়িত্ববোধ অনুসরণ করে বা তাঁর লেখনী ও কন্ঠের মধ্যে প্রকাশ করতে হয়, দুর্নীতি-দূর্বিত্তায়ন এবং প্রশংসিত বিষয়াদি। সাংবাদিকতা একটি অত্যান্ত সম্মানিত ও সার্বক্ষনিক পেশা বিধায় প্রচুর লেখা-পড়ার প্রয়োজন। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ভারতের এক সময়কার প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী সাংবাদিকতার সাথে জড়িত ছিলেন, তাই তিনি বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীত্ব শেষে তিনি সাংবাদিকতায় ফিরে যাবেন এবং তাও বলেছিলেন সাংবাদিকতা কোন ছোট বা অসম্মানজনক পেশা নয়। উপরোক্ত বিষয়টি অনুধাবন করলেই বোঝা যায় সাংবাদিকতা একটি অত্যান্ত গুরুত্ব পূর্ণ এবং জ্ঞান-শিক্ষা ও মেধা সম্বলিত একটি পেশা বটে। |