মৌলভীবাজার জেলার সবচেয়ে বড় কুরবানির পশুর হাট বসে জেলা স্টেডিয়ামে। বুধবার কুরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করতে আসেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ শাফিউর রহমান। কুরবানির পশুর হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ শাফিউর রহমান বলেন, এখানকার লোকজন শান্তিপ্রিয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সুনামগঞ্জ আর হবিগঞ্জে দাঙ্গা হয়। এর বাইরে সবাই শান্তিপ্রিয়। আমাদের ১৭৪টি মোবাইল টিম আছে ৪টি জেলায়। প্রতিটি জেলায় পুলিশ সুপারসহ তাদের টিম রয়েছে। পুলিশ ইন্টেলিজেন্সের সদস্যরা রয়েছে। এর কারণে সিলেট রেঞ্জে কোন চাঁদাবাজি, গরু নামিয়ে নেওয়া এধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। গতকাল মঙ্গলবার ছোট্ট একটি ঘটনা সিলেটে ঘটেছে। যদিও সেটি সিলেট রেঞ্জের মধ্যে পড়ে না। সিলেট মেট্টোর মধ্যে পড়ে। সেটি আমরা দেখেছি।
তিনি বলেন, জাল টাকা শনাক্ত করতে আমরা প্রচুর মেশিন নিয়ে এসেছি। প্রত্যেকটি হাটে জাল টাকা শনাক্ত করণের মেশিন বসানো আছে। সরকার আমাদেরকে মেশিন দিয়েছে। সেখানে মানুষজন যায়। সাধারণতঃ জাল টাকা হাতে নিলেই শনাক্ত করা যায়। ঈদ উপলক্ষ্যে ব্যাপক একটা বাজার আছে, সারাদেশ ব্যাপী উৎসব হয়। সেখানে দু’একটি ঘটনা থাকেই। আমরা তৎপর আছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ২৭টি পয়েন্ট দিয়ে গরু আসে। আমরা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে আলোচনা করেছি, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার যিনি আছেন তার সাথে কথা বলেছি। ইন্ডিয়ার গরু যাতে না আসে। এব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স। এটা আমাদের দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। আমাদের দেশে পর্যাপ্ত গরু আছে। কুরবানি শেষেও আমাদের গরু পর্যাপ্ত থাকে। ইন্ডিয়ান গরু আসার কোন সুযোগ নেই। আর সিন্ডিকেট চক্র একটি কথা ছড়িয়ে দেয় বাজারে গরু কম, ইন্ডিয়ান গরু আসছে না। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে গরুর দাম বাড়িয়ে দেয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু নাসের রিকাবদার, সুদর্শন কুমার রায় সহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।