মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। নির্বাচন কমিশন ভোটের আগে ও পরে সব মিলিয়ে ১০ দিন সেনা সদস্য মোতায়েন রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে । আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৬ দিন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশন(ইসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ১২ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মোতায়েন হওয়া স্ট্রাইকিং ফোর্স বিজিবি, কোস্টগার্ড ব্যাটালিয়ন, আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সঙ্গে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাখতে বলা হয়েছে। রেডটাইমস.কম.বিডি সহ বাংলাদেশের সকল গণমাধ্যমে আজ এ খবর প্রচারিত হয়েছে।
বিএনপি বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন চেয়েছিল। তবে, এবার সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হলেও সেনাসদস্যরা বরাবরের মতো বেসামরিক প্রশাসনের অধীনেই কাজ করবেন।বৃহস্পতিবার ইসির সঙ্গে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। পুলিশি দমন-পীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগ জানিয়ে আসা বিএনপি বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার পাশাপাশি আরও আগে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আচরণবিধি পালনের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধের জন্য ভোট গ্রহণের দুইদিন আগে থেকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ প্রয়োজন।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আচরণ বিধি প্রতিপালনে দেড় হাজারের বেশি জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। সব মিলিয়ে ভোটের মাঠের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছয় লাখের বেশি সদস্য।
প্রসঙ্গত, আজই ইসিকে ২৪ঘন্টার মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য একখানা আইনী বিজ্ঞপ্তী পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী জুনু। বলে রাখা প্রয়োজন যে, আগামী ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মোট ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন ভোটার রয়েছেন।