দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারে ৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে আ’লীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী, মৌলভীবাজার-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-৩ আসনে মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও মৌলভীবাজার-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদের বিজয় সুনিশ্চিতই বলা যায়। স্বতন্ত্র ও অন্যন্যা দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে শক্তিশালী মাত্রার কেউ নেই। নেই আ’লীগের কোন স্বতন্ত্র প্রার্থীও। ফলে আসন্ন নির্বাচনে আ’লীগের এই ৩ প্রার্থীর বিজয় একেবারেই নিশ্চিত। বিজয় তাদের দরজায় যেনো কড়া নাড়ছে। মৌলভীবাজার-১ আসনে জাতীয় প্রার্থীর মনোনিত প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন কিছুটা সরব হলেও বন মন্ত্রীর ধারে কাছেও যেতে পারবেন না তিনি। এমনটাই অনুমিত হচ্ছে, রাজতৈনিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারের মুখে মুখে ধরনের মতামত জরীপে।
এদিকে এ ৩টি আসনে নৌকার প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় যারা রয়েছেন তাদের ভোটের মাঠে নেই তেমন পরিচিতি। মাঠ পর্যায়ে নেই রাজনৈতিক কার্যক্রম। তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রবাসীও। সাধারণ ভোটারদের কাছে তারা অপরিচিত। তাই ভোটাররা রয়েছেন একবারেই নীরব। নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে সাধারণ ভোটারের উপস্থিতি অনেকটাই কম থাকবে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটারগন।
এদিকে মৌলভীবাজার-২ আসনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন নৌকার প্রার্থী কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। এই আসনটিতে তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছেন শক্তিমান তিন প্রার্থী। তিন প্রার্থীরই রয়েছে স্থানীয়ভাবে ব্যক্তি ভাবমূর্তি ও রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক পরিচিতি। সবমিলিয়ে মৌলভীবাজার-২ আসনে নৌকার বিজয় শক্ত মোকাবেলার মুখে রয়েছে। নৌকার প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বদ্বীতায় রয়েছেন তৃণমূল বিএনপি থেকে সোনালী আঁশ প্রতীকে এম এম শাহীন। তিনি এ আসনের সাবেক এমপি। এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ফুটবল প্রতীক নিয়ে তিনি সবাইকে চমক দেখিয়ে বিজয়ী হন।
এমএম শাহীন এমপি থাকাকালীন সময়ে তৈরি করেছিলেন ভোট ব্যাংক। এমনকি স্থানীয়ভাবে রয়েছে তার অনেক পরিচিতি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন এই আসনের সাবেক এমপি আব্দুল মতিন। সাবেক এমপি হিসেবে এই আসনে তার রয়েছে ব্যাপক জনসমর্থন। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যন এ কে এম সফি আহমদ সলমান ওই আসনে আরেকটি ফ্যাক্টর। তারও রয়েছে একটি শক্ত বলয়। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
তবে, মৌভীবাজার-৩ আসনে আ’লীগের অপর শক্তিমান স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল রহিম শহীদ বাদ পড়ায় লাভ হয়েছে নৌকার প্রার্থী জিল্লুরের। না’হলে সমানতালে লড়াই হতো দুই প্রার্থীর বলে অনেকের অভিমত। গেল বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে তার পুনঃবিবেচনার আবেদন বিচারযোগ্য না হওয়ায় তার কর্মী সমর্থকেরা একেবারেই মনভাঙ্গা হয়ে পড়েছেন। তারা চেয়েছিলেন শহর থেকে ঠিক আগেরমত এমপি নির্বাচিত হবেন। অবশ্য কয়েক যুগ পর রাজনগর উপজেলা থেকে নৌকার একজন প্রার্থী জুটালো মৌলভীবাজার-৩ আসন। এতে রাজনগর উপজেলা আ’লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটার ভীষণ খুশি।