৬ সুশীলসমাজ কর্মীর
মৃত্যুদন্ডের রায় সুদানে" />
ওয়াশিংটন: বৃহস্পতিবার, ১৮ই আগষ্ট ২০১৬।। প্রশিক্ষন ও উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত ৬জন সুশীলসমাজকর্মীকে সুদান সরকার কর্তৃক মৃত্যু দন্ডের আদেশ দেয়ার প্রেক্ষিতে “ফ্রীডম হাউস” সোচ্চার হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আনীত সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা বাতিল কিংবা সুবিচার নিশ্চিতের নিশ্চয়তা চেয়ে সুদান সরকারের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছে।
আজই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উক্ত ৬জন সমাজকর্মীর নামোল্লেখ করে “ফ্রিডম হাউস” বলেছে যে, তাদের বিরুদ্ধে আনীত গুপ্তচরবৃত্তি এবং সন্ত্রাসের অভিযোগ মিথ্যা, অস্বাভাবিক এবং অযৌক্তিক। স্বাধীন সভা সমিতির আয়োজন মানুষের মৌলিক অধিকার। আর এই অধিকারের অনুশীলন করায় তাদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। বলেছেন, “ফ্রীডম হাউস”এর আফ্রিকা বিষয়ের পরিচালক ভুকাসিন পেট্রভিক। “ফ্রীডম হাউস” স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, “সুদান সরকারকে হয় এই অসম্ভব মিথ্যা অভিযোগ তুলে নিতে হবে অথবা নির্বিঘ্ন ও দ্রুত সুবিচারের সুনিশ্চিত ব্যবস্থার নিশ্চয়তা দিতে হবে। বিচার চলাকালীন সকল পর্বে পর্যবেক্ষক উপস্থিতি এবং জেলখানায় তাদের দেখার জন্য আগত দর্শকদের অনুমতির নিশ্চয়তা দিতে হবে।
জানিয়ে দেয়া ভাল যে, বিনাবিচারে ৮৬দিন আটক রাখার পর খালাফ-আল্লা আল-আফিফ মুক্তার, মোস্তাফা আদম এবং মিধাত আফিফাদ্দিন হামাদানকে শাসনতন্ত্রের ৫০ধারা, যা হল শাসনতান্ত্রিক পদ্বতিকে হেয় করে দেখা, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ- ফৌজদারি ধারা ৫১, গুপ্তচরবৃত্তির ধারা ৫৩ এবং দুষ্কর্ম ও সন্ত্রাসী সংগঠন ধারা ৬৫ মোতাবেক অপরাধ সংগঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে। জামিনে থাকা আরওয়া আল রাবি, ইমানি-লেইলা রে এবং আল-হাসান খেইরি এদের বিরুদ্ধেও উপরের ৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। আদম ও হামাদান এর বিরুদ্ধে তথ্য দুষ্কৃতি আইনের ১৪ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সুদানের জাতীয় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সেবার কর্মিরা গত দু’বছরে দু’বার খার্তুন ভিত্তিক সংগঠন “ট্রেকস” এর দপ্তর ঘেরাও করে ও তচনছ করে এবং কর্মচারীদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে। ২০১৫ সালের এপ্রিলে ফৌজদারি অপরাধের দায়, যার মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মৃত্যু দন্ডাদেশও ছিল, আনা হয় “ট্রেকস” এর পরিচালক খালাপাল্লা আলাফিফ মুক্তার এবং সুদানিজ মানবাধিকার মনিটরের পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মি আদিল বাখেইত এর বিরুদ্ধে।