সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। বাজারে সার, বীজ, ডিজেল, কীটনাশক সহ সকল কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি পেয়ে আকাশচুম্বী। বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষি খরচ কিন্তু কৃষক ফসলের প্রকৃত দাম পাচ্ছে না। বিএডিসি এর নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে লুটেরা বহুজাতিক কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে সার, বীজ, কীটনাশক সহ সকল উপকরণ। মুনাফার লোভে দাম বাড়িয়ে বাজারে কৃষি উপকরণ বিক্রি করছে। আবার ভেজাল বীজ, সার, কীটনাশকে প্রতারিত হচ্ছে কৃষক।
তারা আরো বলেন, দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে কিন্তু কৃষক কৃষিকাজের জন্য ঋণ নিতে গেলে কৃষক ঋণ পাচ্ছে না। বাজারে বৃদ্ধি পাচ্ছে চাল, ডাল, তেল, লবণ সহ সকল নিত্যপণ্যের দাম। প্রতিবছর জাতীয় বাজেটে সামরিক, প্রশাসন ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি পায়। আর উৎপাদনমুখী কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান খাতে বছরে বছরে ব্যয় বরাদ্দ কমছে। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং পাঁচ থেকে পনেরো হাজার টাকা ঋণের জন্য কৃষকের নামে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের হচ্ছে। দেশে কৃষক, ক্ষেতমজুর, শ্রমিকদের জন্য নেই রেশনিং ব্যবস্থা। বার্ষিক জাতীয় বাজেটে সিংহভাগ যোগান দেয় কৃষক-শ্রমিক সাধারণ মানুষ অথচ তাদের জীবন-জীবিকার সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন সময়ের মূখ্য দাবি।
|