মুক্তকথা: আজীবন ত্যাগব্রতী বিপ্লবী, গণসংগীত শিল্পী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মরনোত্তর দেহদানকারী কমরেড শ্রীকান্ত দাশ এর স্মরণ সভায় বক্তাগন বলেছেন শোষণ ও দারীদ্র লাঞ্চিত ধনবাদী সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কমরেড শ্রীকান্ত ছিলেন এক দ্রোহী সংশপ্তক। আমৃত্যু তিনি একটি শোষণহীন সমাজ বিনির্মানে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন প্রশ্নাতীত নিষ্ঠা ও সততার সাথে। কমিউনিস্টপার্টির বিপ্লবী শৃঙ্খলা বহির্ভুত কোন কিছুর সাথে কখনও আপোষ করেননি। আর এ কারণেই তার বিপ্লবী রাজনৈতিক জীবন নতুন প্রজন্মের কাছে চিরকাল জাগানি দিয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার পূর্বলন্ডনের চিলড্রেন সেন্টারে শ্রীকান্ত সংহতি পরিষদ, যুক্তরাজ্যের আয়োজনে সিলেটের প্রয়াত কম্যুনিষ্টপার্টি নেতা শ্রীকান্ত দাস স্মরণে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তাগন এসব কথা বলেন। সভায় সকল বক্তাগনই শ্রীকান্ত দাসের অসাধারণ রাজনৈতিক জীবনের উপর আলোকপাত করে তাকে কালোত্তীর্ণ জীবনজয়ী সেবাব্রতের এক অমর দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করেন।
শ্রীকান্ত দাস তার জীবদ্দশায় নিজের চোখ ও শরীর শ্রীহট্ট ওসমানী হাসপাতালে দান করে যান যা কি-না সারা দেশে অনুমান ১০-১২জন মানুষ রয়েছেন। প্রগতিশীল এ রাজনীতিক অনেক চড়াই-উৎরাই ডিঙ্গিয়ে স্বীয় লালিত আদর্শকে নিজের ব্যক্তিজীবনে ঠিকই কাজে লাগিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন। সভার শুরুতেই তাপসী চক্রবর্তী লিপি রচিত ‘জোতির্ময় প্রভা শ্রীকান্ত দাশ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাংস্কৃতিক কর্মী নার্গিস কবির। স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন এডভোকেট আবেদ আলী আবিদ, এডভোকেট হারুনূর রশীদ, আবু মূসা হাসান, সৈয়দ এনামূল ইসলাম, সত্যব্রত দাশ স্বপন, হামিদ মোহাম্মদ, কবি শামীম আজাদ, মুজিবুল হক মনি, নাজমুল হোসেন চৌধুরী চান মিয়া, শাহাবউদ্দীন বাচ্চু, গোলাম আকবর মুক্তা, ব্যারিস্টার ফকরুল আলম চৌধুরী শামীম, এম এ আজিজ, শাবিপ্রবি’র সহযোগী অধ্যাপক জহিরুল হক শাকিল, প্রভাসক ফারুখ আহমদ, শামসুল চৌধুরী, বাবুল হোসেন, নুরুল ইসলাম, সৈয়দা সুলতানা শিখা, রুবিহক, জুবের আক্তার সুহেল ও সাইফুল ইসলাম খান প্রমুখ।
স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা আমান উদ্দীন ও সভা পরিচালনা করেন যুক্তরাজ্য যুব ইউনিয়নের সভাপতি ইতেখারুল হক পপলু।