1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কাশিমপুর পাম্প হাউজের নতুন যন্ত্র স্থাপনের কাজ শুরু - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ন

৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কাশিমপুর পাম্প হাউজের নতুন যন্ত্র স্থাপনের কাজ শুরু

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮
  • ১০৬৫ পড়া হয়েছে
কিন্তু মৌলভীবাজারে কৃষকের শঙ্কা এখনো কাটেনি

৮টি পাম্প চালু থাকলে প্রতি সেকেণ্ডে ১২শ ঘনফুট পানি নিষ্কাশনের ক্ষমতা থাকে। কিন্তু ২-৩ টি পাম্প চালু থাকায় হাওরের কৃষির এই করুণ অবস্থা!

আব্দুল ওয়াদুদ।। মনুনদী সেচ প্রকল্প’র অধিনে মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার কাউয়াদিঘি হাওরের ২৪ হাজার ১শ ৭৮ হেক্টর এলাকার ১৯ হাজার ২শ ২৮ হেক্টর চাষযোগ্য জমির বন্যা নিয়ন্ত্রন, নিষ্কাশন ও সেচ ব্যবস্থা প্রদান করার লক্ষ্য নিয়ে আবারো দ্বিতীয় বারের মত স্থাপন করা হচ্ছে নতুন পাম্প মেশিন। এর আগে ১৯৭৫-৭৬ সালে পাম্প হাউজ স্থাপন করা হয়। পাউবো প্রকৌশলীরা বলছেন এ মেশিনগুলো স্থাপন হওয়াতে প্রকল্পের আওতার সকল কৃষকেরা নির্ভিগ্নে কৃষি ক্ষেত করতে পারবে। বন্যা, কিংবা বৃষ্টির পানি হাওরে লেগে থাকলেও নতুন সংযোগের কারনে সহজে সেচ করে কুশিয়ারা নদীতে পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হবে।

এদিকে, হাওর অঞ্চলের মানুষেরা এখনো অজানা আতঙ্কে ভুগছেন। তারা বলছেন, গত বছরের ঠানা ৮ মাসের বন্যায় কাউয়াদিঘি হাওর কানায় কানায় জলমগ্ন ছিল। এর আগেও বছরের পর বছর কৃষি মৌসুমে জলমগ্ন ছিল হাওর। পাম্প হাউজের ৮টি মেশিন থাকার পরেও পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হয়নি। এই ৮টির মধ্যে ২/৩টি পাম্প চালু ছিল কৃষি মৌসুমে। এবার নতুন মেশিনের মুখ দেখে তারা স্বস্থি পেলেও আতঙ্ক যেন এখনো কাটছেইনা। তারা বলছেন একই মেশিন আগেও স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছই হয়নি। কৃষকের সোনালী মাঠ ভরা ফসল কৃষি মৌসুমেও পরিপূর্ণ করে শুকিয়ে দিতে পারেনি ওই পাম্প হাউজ।
ফতেপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও পশ্চিম বেড়কুড়ি (মোল্লাবাড়ি) গ্রামের হাজি মোঃ ইসমাইল আলী বলেন, এরকম কাজে এলাকার কোন ফায়দা (লাভ) হবেনা। ওই টাকা গুলো (৭৮ কোটি টাকা মূল্যের কাজের) ঠকিয়া (লুট করে) খেয়ে ফেলবে কোম্পানী। এতে পানি নিষ্কাশন হবেনা। পানি যদি বৈশাখ মাসে কুশিয়ারা নদীতে না নামে তবে জনগণের কোন উপকার হবেনা। তারা (সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড) এর আগেও সময় মত পানি সেচ করেনি। নানা অজুহাত দেখিয়ে বলেছে “কারেন্ট নাই, এই নাই, সেই নাই”। তিনি আরো বলেন, লাগাতার বন্যার কারণে গত ৩ বছর ধরে কাউয়াদিঘি হাওরে তার ৯০ কিয়ার জমি থেকে ধান তুলতে পারেন নাই।
কাউয়াদিঘি হাওর পাড়ের ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের জাকির হোসেন জানান, তারা যদি নতুন মেশিন দিয়ে চৈত্র মাস থেকে সেচ করে পানি নিস্কাসন করে তবে ধান গোলায় তোলা যাবে। পুরো হাওরে পানি জমা করে এক সাথে সেচ করতে চাইলে নিষ্কাশন করতে পারবেনা।
কাশিমপুর পাম্প হাউজের ইলেক্ট্রীকের দ্বায়িত্বে থাকা ফরিদ মিয়া জানান, পাম্পের পুরানো ৮টা মটর এখনো কাজের উপযোগী। তবে পাম্পের মেকানিকেল সাইড ও প্যানেল বোর্ড নষ্ট রয়েছে। পাঁচ নং পাম্পের ম্যাকানিকেল সাইডও নষ্ট। বাকিগুলো ভাল। তবে বিদ্যুতের কারণে সবগুলো চালানো সম্ভব হয়না। এখন নতুন পাম্প মিশিন আসায় পাওয়ার কনট্রল, সাব-ষ্টেশন, প্যানেল বোর্ড গুলো নতুন বিল্ডিংয়ে বসানো হবে। এবার নতুন করে ২৪শ বোল্ড ট্রান্সফরমার বসানো হবে। এর আগে ৩টা ট্রান্সফরমার মিলে ছিল ২৪শ বোল্ড।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আনিছুর রহমান বুধবার ( ২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জানান, কাশিমপুর পাম্প হাউজে ৮টি পাম্পের মধ্যে ৩টির কাজ শুরু হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে হাওর আবার তলিয়ে গেলে অবশিষ্ট পাম্প দিয়ে যাতে পানি নিস্কাশন করা যায় এজন্য তিনটা করে পাম্পের কাজ করা হচ্ছে । তিনি বলেন, জার্মানীর কেএসবি পাম্পের এক এজেন্ট এটার কাজ করছে। ডিপিএম পদ্ধতিতে এ পাম্প বসানোর জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ টেন্ডার প্রক্রিয়া করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে মতামত দেয়া হয়েছে। কাশিমপুরে ২০১৬ সালের পহেলা মে থেকে কাজ শুরু হয়েছে। ৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কাজ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শেষ হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড মনু নদী সেচ প্রকল্প মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার ভিতর দিয়ে তার অবস্থান। ১৯৭৫-৭৬ সালে ২৪ হাজার ১শ ৭৮ হেক্টর এলাকার ১৯ হাজার ২শ ২৮ হেক্টর চাষযোগ্য জমির বন্যা নিয়ন্ত্রন, নিষ্কাশন ও সেচ ব্যবস্থা প্রদান করাই ছিল প্রকল্পের মূল উদ্যেশ্য। ৮টি পাম্পের মধ্যে প্রতিটি পাম্পের পানি নিষ্কাশনের ক্ষমতা ১শ ৫০ ঘনফুট প্রতি সেকেন্টে। এতে সবকটি পাম্পে প্রতি সেকেন্টে ১২শ ঘনফুট পানি নিষ্কাশন করে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT