বড়লেখা সংবাদদাতা।। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন তার মন্ত্রনালয়কে দূর্নীতিমুক্ত করাকে প্রথম কাজ হিসেবে গ্রহন করেছেন। তিনি বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশে রুপান্তর করতে চান। একাজে তার উপর মন্ত্রণালয়ের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতিমুক্ত করাই হবে তার প্রথম কাজ।
গত বুধবার ১৬ জানুয়ারি রাতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গণসংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর বন্যা, খরা, অতিবৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাসে আমাদের দেশ আক্রান্ত হচ্ছে। তাঁর একমাত্র কারণ জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব। আমরা বন উজাড় করে দিয়েছি। খাল-বিল ভরাট করে দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও অবৈধ দখল করা হয়েছে। যার ফলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটেছে। এই বিপর্যয়ের হাত থেকে দেশের মানুষ ও ফসল রক্ষা করতে হলে এই মন্ত্রণালয়কে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। দেশের পাহাড় রক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশের যত পাহাড় আছে। সেগুলোতে যাতে বৃক্ষ নিধন না হয়। গাছ চুরি বন্ধ করতে হবে। সেই ব্যবস্থা আমরা করব। হাওর-বিল যেগুলো ভরাট হয়ে গেছে। সেইগুলো খনন করা হবে।
এর আগে তিনি জনসভাস্থলে এসে পৌঁছালে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সিলেট থেকে বড়লেখা আসার সময় বিয়ানীবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় নেতা-কর্মীরা তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। মন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম তিনি তাঁর এলাকাতে আসেন। তবে জেলা আ’লীগ নেতা- কর্মীদের সভায় দেখা যায়নি।
বন মন্ত্রী ইটভাটাকে নীতিমালায় নিয়ে আসা ও দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকি ও পাথারিয়া পাহাড়কে দৃষ্টিনন্দন করতে গিয়ে বলেন, বর্তমানে দেশে ইট ভাটাগুলো নিয়মকানুন না মেনে চলায় পরিবেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে ইটভাটাগুলোকে নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসা। আগামী ৩০ তারিখ সংসদ অধিবেশন শুরু হবে। আমরা সংসদে বিল নিয়ে আসব। যাতে ইটভাটাগুলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর না হয়। সে আইন আমরা বাংলাদেশে চালু করব। তাছাড়া ইকো-ট্যুরিজমের আওতায় পাথারিয়া পাহাড় ও হাকালুকি হাওরকে নিয়ে এসে মানুষের কাছে দৃষ্টিনন্দন হিসেবে তুলে ধরার কাজ করব। এই এলাকাকে পর্যটন অঞ্চল হিসেবে বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরব।
সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি প্রণয় কুমার দে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তাজ উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ আনজুমানে আল-ইসলাহ্র সভাপতি কেএম ছালেহ আহমদ কবির প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল খালিক, মোশারফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাউর, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আজহার উদ্দিন, শ্রম সম্পাদক জুবের আহমদ, সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সাবেক ছাত্রনেতা বেলাল খান, এম এইচ ইলিয়াছ দিনার, আব্দুল আলিম তুষার, বদরুল হোসেন, ফয়ছল আহমদ তাপাদার, শাওন আলম প্রমুখ।