মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসার অনন্য এক প্রকাশ ঘটিয়েছেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক ও বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস্-উল ইসলাম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ প্রতিকৃতি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে অগ্রনী ব্যাংকে তিনি স্থাপন করেছেন এবং করে যাচ্ছেন “বঙ্গবন্ধু কর্ণার”।
কয়েকটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, শামস্-উল ইসলাম সর্বপ্রথম ২০১০ সালে অগ্রণী ব্যাংক মৌলভীবাজার এজিএম শাখায় স্থাপন করেন ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’। ব্যাংক কর্মকর্তা শামস্-উল ইসলাম পর্যায়ক্রমে ২০১৬ইং সালে আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক ও বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজ দায়িত্বে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ স্থাপন করেন।
অগ্রণী ব্যাংক মৌলভীবাজার আঞ্চলিক এজিএম শাখায় সর্বপ্রথম নিজ উদ্যোগে ২০১০ সালে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ স্থাপন করেন। ২০১৮ সালের শেষের দিকে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক শাখা পরিদর্শনে এসে শামস্-উল ইসলাম বলেছিলেন অগ্রণী ব্যাংক মৌলভীবাজার এজিএম শাখা থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে স্থাপত্য নকশা(আর্কিটেকচারাল ডিজাইনে)সহ যেখানে সম্ভব সেখানেই ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ স্থাপন করা হবে।
মূলতঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও কর্মময় জীবনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ভাবে তুলে ধরার লক্ষ্য থেকেই শামস্-উল ইসলাম ব্যাংক, স্কুল-কলেজ সরকারি বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করায় প্রয়াসী হন। শামস্-উল ইসলামের এ কাজের ধারাবাহিকতায় অগ্রনী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সপ্তম তলায় বঙ্গবন্ধু ‘কর্ণার স্থাপন’ করেন তিনি নিজেই। স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’গুলিতে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বই-পুস্তক, ছবি, লেখা ও প্রামাণ্যচিত্র রাখার ব্যবস্থা আছে। এতে করে দেশের নতুন প্রজন্মের পক্ষে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে সুযোগ হবে এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
শামস্-উল ইসলাম মনে করেন, তাঁর এই সৃষ্টি অচিরেই সারাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে, যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর আদর্শ আগামী প্রজন্মের কাছে আরও বেশি বেশি পরিচিতি লাভ করবে।
শামস্-উল ইসলামের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রশংসা জ্ঞাপন করেন বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
অগ্রনী ব্যাংকের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা বিষয়ে জানা যায়, তিনি ২০১৬ সালের ২৮শে আগস্ট অগ্রণী ব্যাংক লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। এছাড়া তিনি ২০০৮ সাল থেকে অগ্রণী ব্যাংকের মহা-ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন এবং একই ব্যাংকে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন। তিনি দীর্ঘ সাত বছর অগ্রণী এক্সচেঞ্জ হাউস প্রাঃ লিঃ, সিঙ্গাপুরের সিইও এবং পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং রেমিটেন্স আহরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শামস্-উল ইসলাম ১৯৮৪ সালে অগ্রণী ব্যাংকে সিনিয়র ফিন্যান্সিয়াল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাজ্য, হল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে ব্যাংকিং ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত উচ্চতর প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব ছাড়াও বিভিন্ন শাখা, অঞ্চল এবং কর্পোরেট শাখা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে শামস্-উল ইসলাম ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য যে, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর এখন পর্যন্ত দেশ-বিদেশে প্রায় ১৩ শতাধিক মৌলিক গ্রন্থ রয়েছে। এইগুলো বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় প্রকাশিত। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ওপর বেশ কিছুসংখ্যক বই চীনা, জাপানী, ইতালি, জার্মানি ও সুইডিশসহ কয়েকটি বিদেশী ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।