মুক্তকথা সংবাদ।। সুখ্যাত ইরানীয়ান মানবাধিকার উকীল নাসরিন শতৌদে’র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা নেয়ার সম্ভাবনার উল্লেখ করে ওয়াশিংটনস্থ ফ্রিডম হাউস তার আশু মুক্তির দাবীতে নিম্নোক্ত বক্তব্য রেখেছেন। গত ৭ই মার্চ ফ্রিডম হাউস থেকে এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের জুনমাসে গ্রেপ্তারের পর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে ইরানের বিচার বিভাগ নাসরিন শতৌদে’র সাথে যে নমুনায় অসুন্দর আচরণ করেছে এতে স্পষ্টতঃই প্রতীয়মান হয়েছে যে ইরানী কর্তৃপক্ষ বিচারের পথ খুঁজছেন না বা আইনের শাসনের দিকেও নজর দিচ্ছেন না। বরং তাদের লক্ষ্য হলো বিচারের আওয়াজ উত্তোলনকারী নেতৃত্বের মুখ বন্ধ করে দেয়া। এমন মন্তব্য করেছেন ওয়াশিংটনস্থ ফ্রিডম হাউসের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা কর্মসূচীর পরিচালক দখি ফাসিহিয়ান।
ইরানীয়ান নারীদের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি মানবাধিকার আইনজ্ঞ শতৌদে’র শান্তিপূর্ণ প্রতিরক্ষা অবস্থান কোনভাবেই ইরানী জাতীয় নিরাপত্তা অপরাধের বিষয় নয়। এ কর্মগুলো আন্তর্জাতিক আইনে সিদ্ধ ন্যায্য আইনী সহায়তা, ব্যক্তি অধিকার বিষয়ে। অধিকারের এ বিষয়গুলো সুদীর্ঘকাল ধরে ইরানী কর্তৃপক্ষ বেপরোয়াভাবে অবজ্ঞা ও অস্বীকার করে আসছে। দূর্ভাগ্য যে শতৌদি’কে সম্ভবতঃ কয়েক দশক এখন কারাগারেই কাটাবে হবে বিচার বিভাগের হাতে থেকেই। কারণ ইব্রাহিম রাইসি, যিনি ১৯৮০সালে ইরানের রাজবন্দীদের দক্ষযজ্ঞে মূল ভূমিকায় ছিলেন তাকেই বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এই ইব্রাহিম রাইসি’র চেয়ে অনেক ভাল বিচারকাজ চালাতে পারবেন শতৌদে নিজেই। এ অবস্থায় শতৌদে’কে তার বিরুদ্ধে আনীত সকল দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাকে নিঃশর্ত মুক্ত করে দেয়া হোক।
আমেরিকা সরকার, ইউরোপীয়ান সরকারগন এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মকর্তাদের উচিত শতৌদে’র জন্য বলিষ্টভাবে মুক্তির দাবী করা।
উল্লেখ্য, নাসরিন শতৌদে একজন ইরানীয়ান মানবাধিকার আইনজ্ঞ যিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ইরানে মানবাধিকার নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন। তাকে ইরানী সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী ২০১৮সালের ১৩ই জুন গ্রেপ্তার করে। ওই সময় শতৌদে একজন ইরানী নারীর পক্ষে উকালতি করেন যে মহিলা বাধ্যবাধকতামূলক হিজাব পড়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন। সেই থেকে নাসরিন শতৌদে ইরানের জেলখানায় সময় পাড় করছেন। তাকে ৩৮বছরের সাজা দেয়া হয়েছে।