হারুনূর রশীদ।। এ ছবিটির কি ব্যাখ্যা হতে পারে! ৩ থেকে ৫/৬ বছরের শিশু-কিশোর এরা। নিয়ম-নীতি বুঝার বয়স এদের এখনও হয়নি। কিন্তু ইন্টারনেট আর মোবাইলের ব্যবহার দুনিয়ার মানুষকে কিভাবে নাড়া দিয়েছে, এ ছবি থেকে তার একটু আভাস পাওয়া যায়।
দুনিয়ার অন্য কোন কিছু না বুঝলেও ‘সেলফি’ তুলার মোহনীয় সখ তাদের পাগল করেছে।
নাইবা থাকলো মোবাইল। তাতে কি যায় আসে। কায়দা-কানুন তো জানা আছে। মনকে বুঝিয়ে নাও যে তুমি এখন ‘সেলফি’ তুলছো! ওতেই হবে। আসো সবাই মিলে একটি সেলফি তুলে নেই। বেটাদের মোবাইলের প্রয়োজন নেই। পায়ের স্পঞ্জের চটি জুতোই যথেষ্ট। ওদিকে তাকাও আর মনে মনে ভাবো যে আমরা ‘সেলফি তুলছি। ওতেই হবে। মনের গভীর থেকে বেরিয়ে আসা সেকি আনন্দ! হতে পারে, আমাদের উঠতি ঠগ ধনবাদী সমাজের প্রতি কিশোর মনের এও এক ধরনের প্রতিবাদ!