মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। আজ ১লা ডিসেম্বর ভোর ৪-২০মিনিটের দিকে ভয়ঙ্কর রূপের বিকট আওয়াজে লণ্ডন এবং উত্তর প্রান্তের মানুষ ভয়ে ভীত হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। অনেকেই টুইট করেছেন এই বলে যে তাদের ঘর কেঁপে উঠায় তারা ভয়ে বেরিয়ে আসেন। এ সময় পুলিশেরও বিপদ সাইরেনের আওয়াজ শোনা গেছে।
বিবিসি’র খবরে জানা গেছে দু’টি রাজকীয় বিমান টাইফুন আকাশে উড়েছিল অপর একটি বিমানকে খেয়ালে আনার জন্য। বৃটেনের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া ওই বিমানটি কোন ধরনের যোগাযোগ করছিল না। এমন খবর পেয়ে রয়েল এয়ার ফোর্সের দু’টি টাইফুন লিঙ্কনশায়ারের কনিংসাই ঘাঁটি থেকে ওই বিমানটিকে নিয়ন্ত্রনে আনার লক্ষ্যে আকাশে উড়ে। এসময় দ্রুততার সাথে লক্ষ্যস্থলে পৌঁছার উদ্দেশ্যে গতি বাড়িয়ে দিলে এমন আওয়াজের জন্ম দেয়। প্রচণ্ড বিষ্ফোরণের মত টাইফুনের এ আওয়াজ লণ্ডন, হার্ডফোর্ডশায়ার এবং বেডফোর্ডশায়ার থেকে একই সাথে শুনা গিয়েছিল।
অবশ্য লণ্ডন মেট্রোপলিটান পুলিশ সাথে সাথেই বিকট এই আওয়াজের কারণ এবং রাজকীয় বিমান বাহিনীর টাইফুন থেকে যে এসেছে তা সকলকে জানিয়ে দেয়। পুলিশ জানায় যে দ্রুততম সময়ে লক্ষ্য স্থলে উপস্থিত হওয়ার নিমিত্ত্বে গতি বাড়িয়ে দেয়ার কারণে এ আওয়াজের জন্ম হয়েছে।
জানা গেছে যে, রাজকীয় বিমান জেট গুলিকে আকাশে কোন অপরিচিত বিমানকে নিয়ন্ত্রনে আনার কাজে যেতে হলে এমন গতিতে যাওয়ার অনুমোদন দেয়া হয়ে থাকে।
রাজকীয় বিমান বাহিনী-এর একজন মুখপাত্র বিবিসি’কে বলেন যে, লাঙ্কাশায়ারের ‘কনিঙ্গসবাই’ যুদ্ধ বিমান ঘাঁটিতে দু’টি টাইফুন যুদ্ধ জেট বিমান হুড়োহুড়িতে পড়ে যায়, কারণ একটি বিমান বৃটেনের আকাশ সীমা দিয়ে যাওয়ার পথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিল, তাকে “কুইক রিএকশন এলার্ট”(কিউ আর এ) কৌশলের আওতায় কাছে পৌঁছে দেখতে হয় ঘটনা কি ছিল। তাই বিমানটির সামনে গিয়ে দাঁড়াতে সর্বোচ্চ গতিতে যেতে হয়েছিল।
পরবর্তীতে আর এ এফ পৌঁছার সাথে সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিমানটির যোগাযোগ স্থাপিত হয় এবং রাজকীয় বিমান বাহিনীর জেট দু’টি ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
জেনেট নামের হার্ডফোর্ডশায়ারের একজন বাসীন্দা বিবিসি’কে জানান যে বিশাল ওজনের কোন বস্তু তার ঘরের চালায় পড়েছে বলে মনে করে ঘর থেকে বের হয়ে পড়েন। তার ঘর কেঁপে উঠেছিল বলেও তিনি জানান।
বিবিসি থেকে জানা গেছে, যখন কোন বিমান ঘন্টায় ৭৬৮ মাইল বেগে উড়ে চলে তখনই এমন আওয়াজ হয়ে থাকে বলে একজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন।