মামুন রশীদ মহসিন।। গত কাল চলে গেলো বাংলা সনের নতুন বছরের ১ম(প্রথম) দিন। করোনা আক্রান্ত হয়ে গোটা দুনিয়া যখন সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে, কালের ঠিক এমনই এক সংকটঘন মূহুর্তে নিরবে না হলেও চুপিসারে এসে চলে গেলো পহেলা বোশেখ। বাংলা পঞ্জিকার হিসেবে ১৪২৭সালের প্রথম দিন।
বিশ্বের সর্বত্র এখন চলছে মৃত্যুর মিছিল, কালের সে অভিশাপ থেকে সল্প আয়ের বাংলাদেশ বাঁচে কি করে? করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি ও মৃত্যুর মিছিল সংখ্যার দিক থেকে কম হলেও দিন দিন বাড়ছেই। এ অবস্থায় বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও চলছে লকডাউনের মহড়া। সবচেয়ে দুঃখজনক হলেও সত্য যে সরকারের ত্রান তৎপরতা লুট-পাটকারীদের হাতে পড়ে দেশের দূর্গতি বাড়িয়েই চলেছে।
আজও খবরের পাতা থেকে জানা যায় করোনায় এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে ২০,২৪৬৭৫জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১,২৮,৯৭২জন প্রাণ বলিদান দিয়েছেন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,৯২৪৮২জন। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে আত্মাহুতি দিয়েছেন ৩৯৯জন, পাকিস্তানে- ১১৮জন, আফগানিস্তানে- ২৭জন, বাংলাদেশে- ৫৪জন, শ্রীলংকায়- ৭জন, মায়ানমারে- ৪জন। নেপাল, ভূটান ও মালদ্বীপে কেউ প্রান হারায়নি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনেও কেউ প্রান হারায় নি। এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী মারা গিয়েছেন আমেরিকায়- ২৬,২৮১জন, যুক্তরাজ্যে- ১৩৬২৯জন, স্পেনে- ১৮৯০৩জন, ইটালীতে- ২১০৬৭জন, ফরাসী দেশে- ১৫৭২৯জন ও জার্মানীতে- ৩৫৬১জন। মৃত্যুর মুখোমুখি বিশ্ব মানুষের এমন দূর্দিনে বাংলাদেশের অবস্থাকে সামনে রেখে অসংখ্য ফেইচবুকার তাদের বহুমূখী চিন্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন স্বকীয় ভাবনাকে তুলে ধরে। তারই কয়েকটি মন্তব্য এখানে নিচে তুলে ধরা হলো।
এতোসব হঠকারীতার মাঝেও বিপরীত চিত্র যে নেই তা নয়। দেশের এমন এক সংকটময় সময়ে এক হৃদয়বান গ্রাম ডাক্তার “মা” মেডিকেল হল এর সত্ত্বাধিকারী ও স্থানীয় সাপ্তাহিক মুক্তকথা পত্রিকার সাংবাদিক রিপন কান্তি ধর রুপক মুক্তকথা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককে সাথে নিয়ে এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্টির সহায়তায় বেড়িয়ে পড়েন। নিজ এলাকার হত দরিদ্র মানুষগুলোর দূর্দশা দেখে নিজের সল্প আয় থেকে ত্রান বিতরণে উদ্যোগী হয়ে কাজে নেমে পড়েন। দেশের বহু জায়গায় যখন ত্রাণের চাল চুরি যাচ্ছে ঠিক সেমত সময় গ্রাম ডাক্তার রুপকের সেবাব্রতের এ মহতি উদ্যোগকে ধন্যবাদ বা সাধুবাদ জানিয়ে জনকল্যাণের লেবাসি কাজের কাতারে না নেয়াই উত্তম হবে।
সমাজের সচ্চল প্রতিটা মানুষ যদি এ ভাবে এগিয়ে আসে তা হলে এই মরণ ব্যাধি থেকে পরিত্রান পাওয়া সহজতর হবে বলেই আমরা আস্তাশীল।