মুক্তকথা সংবাদকক্ষ॥ ব্যবসার অনুমতিপত্র(ট্রেড লাইসেন্স ও ফিস) ও খরচা দিতে হবে অন্তর্জালে ‘ফেইচবুক’ ব্যবহার করে ব্যবসা করতে চাইলে। অর্থাৎ ট্রেড লাইসেন্স ফি কমপক্ষে ১১শত টাকা থেকে প্রায় ১৫শত টাকার মত দিতে হবে। ভেট, নামফলক কর(সাইনবোর্ড টেক্স), সশরীরে পরিদর্শন কর(ফিজিকেল ভিজিট টেক্স) এসব মিলিয়ে একজন অন্তর্জাল অনলাইন ব্যবসায়ীকে প্রায় হাজার চারেকের মত খরচা গুণতে হবে। এমন খবরটি প্রকাশ করেছে অন্তর্জাল সংবাদ মাধ্যম ঢাকা ট্রিবিউন’।
বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল ব্যবসা সেল-এর প্রধানের নাম উল্লেখ করে অনলাইনটি লিখেছে যে অন্তর্জালে বা অনলাইনে ব্যবসার প্রতারণা বন্ধ ও ক্রেতাদের আস্থা তৈরীর জন্য “ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১” শীর্ষক একটি খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ফেইচবুক ব্যবহার করে ব্যবসা করতে গেলেও ‘ট্রেড লাইসেন্স’ করতে হবে। এ ছাড়াও নতুন ওই নির্দেশিকায় রয়েছে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষার বহুবিদ নিয়ম কানুন যা মালামালের আদেশ থেকে শুরু করে খদ্দেরের হাতে পৌঁছা অবদি উভয় পক্ষকেই নিরাপত্তা দেবে।
সারা বাংলাদেশে ই-কেব’ ও ‘ই-কমার্স’ ব্যবসায়ী সংখ্যার একটি হিসেব দিয়ে ‘বিজনেস ষ্টেনডার্ড’এর একটি প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে আসন্ন এপ্রিল মাস থেকেই এই নির্দেশনাগুলো কার্যকরী করা শুরু হবে। জানা গেছে, যেহেতু ‘ই-কমার্স’ নামে কোন ‘ব্যবসা অনুমতি'(ট্রেড লাইসেন্স) এখনও শুরু হয়নি তাই ফেইচবুক ভিত্তিক ই-কমার্স ব্যবসানুমতি(ট্রেড লাইসেন্স) যারা নিতে ইচ্ছুক তাদেরকে আইটি বা সফ্টওয়ার তালিকায় ব্যবসানুমতি(ট্রেড লাইসেন্স) নিতে হবে। আর এ জন্য খরচা হিসেবে টাকা দিতে হবে ১১শত টাকা থেকে ১৫শত টাকা। অবশ্য এলাকা ও ব্যবসার ধরণভেদে ‘ব্যবসানুমতি’ খরচ কম-বেশী হতে পারে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এ পদ্বতিতে সরকারের আয় হবে বছরে প্রায় ২০০কোটি টাকা। এ ছাড়াও নীতিমালায় রয়েছে যে ক্রয়াদেশ গ্রহনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ‘পৌঁছে দেয়ার মানুষ'(ডেলিভারি মেন) এর কাছে ক্রয়কৃত মাল দিয়ে দিতে হবে। ক্রেতা একই শহরের হলে কমপক্ষে ৫দিনের মধ্যে মাল তার হাতে পৌঁছাতে হবে। ভিন্ন শহর হলে ১০দিন সময়ের মধ্যে ক্রেতার হাতে মাল পৌঁছাতে হবে। এ নিয়মের কোন হের-ফের হলে ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বা অন্য কোন আদালতে মামলা করতে পারবেন।
এ নীতিমালা বা নির্দেশিকা পালনে কোন ত্রুটি হলে বা ব্যর্থ হলে ব্যবসানুমতি বা লাইসেন্স বাতিল এবং ফেইচবুক’এর ‘দোকান খোটা'(মার্কেটপ্লেস) নিষিদ্ধ করে দেয়া হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনসহ দেশের সংশ্লিষ্ট সকল আইন এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
অবশ্য একটু ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন ঢাকার ই-কেব’এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। তিনি মনে করেন, ব্যবসার নতুন এই ক্ষেত্রকে এখনি কঠোর নীতিমালার বেড়াজালে আটকে দিলে এর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ‘ঢাকা ট্রিবিউন’ থেকে
|