জিয়া ও তামিমকে ধরিয়ে দিলে
৪০ লাখ টাকা পুরস্কার" />
মুক্তকথা: মঙ্গলবার, ২রা আগস্ট ২০১৬॥
জিয়া ও তামিমকে ধরিয়ে দিলে
৪০ লাখ টাকা পুরস্কার
মুক্তকথা: মঙ্গলবার, ২রা আগস্ট ২০১৬॥
সামরিক বাহিনী থেকে বহিস্কৃত পলাতক মেজর সৈয়দ জিয়া উল হক ও বিয়ানী বাজারের তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দিলে ৪০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
গুলশান, শোয়ালাকিয়াসহ সম্প্রতি সংঘটিত বিভিন্ন জঙ্গিহামলার আসল পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম হিসেবে এই দুই ব্যক্তিকে পুলিশ সনাক্ত করেছে।
আজ মঙ্গলবার ২রা আগস্ট পুলিশের প্রধান দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ প্রধান এ কে এম শহিদুল হক এ ঘোষণা দেন। পুলিশ, এদের দু’জনকেই গুলশানের হলি
সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক আর্টিসান ও শোয়ালাকিয়ায় হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে সনাক্ত করেছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন যে তামিম চৌধুরী গুলশান হামলার আগে দেশেই ছিল। পুলিশের ধারণা, হামলার পরে সে বিদেশে চলে যেতে পারে, কারণ জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) অর্থায়ন বিদেশ থেকেই হয়।’
মেজর জিয়া উল হক সম্পর্কে তিনি বলেন যে জিয়া আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের (এবিটি) সমন্বয়কের কাজ করেছে। জিয়াও দেশের বাইরে রয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।
জিয়া: পুলিশের দেয়া বিবরণে- মেজর জিয়ার পুরো নাম সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়া উল হক। তার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ জিল্লুল হক। তাদের বাড়ি মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুর গ্রামে। জিয়ার সর্বশেষ ব্যবহৃত ঠিকানা ছিল : পলাশ, ১২ তলা, মিরপুর, সেনানিবাস, ঢাকা। তার পাসপোর্ট নম্বর এক্স-০৬১৪৯২৩।
জিয়ার বাবার বর্তমান ঠিকানা : বাড়ি নম্বর ৫১২ (৩য় তলা), রোড নম্বর-০৯, বারিধারা, ডিওএইচএস, ঢাকা।
২০১২ সালে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টায় চাকরি হারান মেজর জিয়া। এই ঘটনার পেছনে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরিরের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে ধারণা করা হয়।
পুলিশের মতে, চাকরি হারানোর পর থেকেই তিনি এবিটির সামরিক কমান্ডারের দায়িত্ব নেন। সামরিক প্রশিক্ষণ দেন দু’শতাধিক সদস্যকে। পরবর্তীতে এই প্রশিক্ষিত সদস্যদের মাধ্যমে লেখক-প্রকাশক, ব্লগার ও অন্য ধর্মাবলম্বীদের হত্যার লক্ষ্য স্থির করে ‘কিলিং মিশন’ পরিচালনা করেন, এমন তথ্যও রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।
তামিম:
তামিমের পুরো নাম তামিম আহমেদ চৌধুরী। তার বাবা শফিক আহমেদ চৌধুরী, মা খালেদা শফি চৌধুরী। তাদের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার দোবাক ইউনিয়নের বড়গ্রাম সাদিমাপুরে। তামিমের বর্তমান পাসপোর্ট নম্বর : এএফ-২৮৩৭০৭৬ ও পুরনো পাসপোর্ট নম্বর এল-০৬৩৩৪৭৮।
তামিম চৌধুরীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর : ১৯৮৬০০৯১২৪১০০১৩৪২। তার জন্ম ১৯৮৬ সালের ২৫ জুলাই। সর্বশেষ তিনি ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর, দুবাই থেকে ইত্তেহাত এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসেন।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কথিত বাংলাদেশ সমন্বয়ক তামিম চৌধুরীকে গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের একজন বলে চিহ্নিত করেছে গোয়েন্দারা।
২০১৩ সালে কানাডা থেকে ঢাকায় আসেন তামিম। কল্যাণপুরে জঙ্গিদের গোপন আস্তানায় বৈঠক ও সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য তাদের উজ্জীবিত এবং আর্থিক সহায়তা দিতেন বলেও গণমাধ্যমে খবর আছে।