আদর্শিক বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করলেও সামরিক শাসকদের সঙ্গে হাত মেলাইনি। হাহাকারি মানুষের কান্না এখনও আমি শুনতে পাই। বাজার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে অবশ্যই মিছিল প্রতিবাদ করা উচিৎ। ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিদের দায়ীত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের কারণে বাজার সিন্ডিকেটরা দ্রব্যমূল্য ইচ্ছেমত বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চিরশত্রু রাজাকার জঙ্গিদের বিরুদ্ধের লড়াই অব্যাহত রাখার প্রয়োজন এখনও ফুরয়নি। সাবেক তথ্যমন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জাসদ)এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি গত বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ মৌলভীবাজারে এক কর্মী সমাবেশে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
জনাব ইনু আরো বলেন, নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিরসনে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র সুযোগ পেলেই বাংলাদেশকে পাকিস্তানের আদর্শে রূপান্তরের চেষ্টা করে। সুতরাং রাজাকার আটকাতে হবে এবং যথাসময়ে নির্বাচন করতে হবে। নতুন বিপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে বঞ্চনা বৈষম্য।
তিনি বলেন, দূর্ণীতিবাজ জঙ্গী রাজাকার সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দমন করতে হবে। যারা নির্বাচন নিয়ে ষঢ়যন্ত্র করছে ওরা খাল কেটে কুমীর আনার চেষ্টা করছে। গত ১৩ বছর ধরে জামাত কত বিপদে আছে তবুও একাত্তরের কর্মকাণ্ড নিয়ে হাতজোড় করে ক্ষমা চায়নি। বিএনপি এখনও জামায়াতের সঙ্গে আছে। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন মুক্তিযোদ্ধা নিধন করেছে। এখনও বিএনপি’র কর্মীরা জয়বাংলা ধ্বনি উচ্চারণ করে না। বিএনপি’র নেতা জয়বাংলা বলে যুদ্ধ করেছিলো কিন্তু ‘৭৫-এর পরে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের রেলে উঠে পাকিস্তানকে অনুসরণ করে বাংলাদেশ – জিন্দাবাদ ধ্বনি শুরু করেছিল।
হবিগঞ্জ সভায় বক্তব্য রাখেন আবু হেনা মোস্তাফা কামাল, এডভোকেট তাজউদ্দীন আহমদ সুফি, চুনারুঘাট উপজেলা জাসদ সভাপতি আব্দুল হাই, বাহুবল উপজেলা জাসদ সভাপতি আব্দুল কাইউম, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা জাসদ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুক মিয়া, শাহ আসিকুর রহমান-সাংগঠনিক সম্পাদক হবিগঞ্জ জেলা জাসদ, জিয়াউল, হাসান তরপদার মাহিন-সদস্য কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি এবং মৌলভীবাজার থেকে জাসদ নেতা মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও এডভোকেট হারুনূর রশীদ, আব্দুল হক ও আব্দুল মোছাব্বির।