হারুনূর রশীদ
দুই নামেই তিনি সুপরিচিত। বেশী পরিচিত যে নামে ‘মেগুমি আইগারিশ’ তার অর্থ দাড়ায় ‘ছদ্মনাম যিনি ব্যবহার করেন’। উইকিপেডিয়া মতে তার অপর নামের অর্থ দাড়ায় ‘বেকামা’ বা ‘নষ্ট বালিকা’। ‘রকুদেনাশিকো’ শব্দের অর্থ ‘বেকামা’ বা ‘নষ্টবালিকা’।
এই মেগুমি আইগারিশ বা রকুদেনাশিকো(Rokudenashiko), নামেই বুঝা যায় যে তিনি পৃথিবীর পূর্বাঞ্চলীয় মানুষ। তার দেশের নাম জাপান। তিনি একজন ভাস্কর্য শিল্পী। তাকে ‘মাঙ্গা’ শিল্পীও বলা হয়। শিল্পকলা জগতে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন ‘যৌনশিল্পী’ বলে। দেখতে যদিও তেমন ভুবনমোহিনী নন কিন্তু তার শিল্পবোধের রুচি তাকে সবসময় বিতর্কের মধ্যমণি করে রাখে। তিনি তার শিল্পকর্মে নিজের যোনিকে তুলে ধরেন। এ নিয়ে জেল পুলিশও হয়েছে। তাতে দমে যাননি রকুদেনাশিকো আইগারিশ। এস্কিমোদের কায়াকের(একজাতীয় নৌকা) আদলের তার একটি নৌকা রয়েছে সে নৌকা করে তিনি দাপিয়ে বেড়ান তার পরিচিত তল্লাট। হাস্যকর হলেও সত্য যে তার সেই নৌকার নমুনাও তার নিজের যোনিদ্বারের। রুকুদেনাশিকো তাঁর যোনি স্ক্যান করে তা দিয়ে থ্রি ডি প্রিন্টারে ২ মিটার লম্বা ছবি ছেপে বের করে নৌকা বানিয়েছেন।
বিচিত্র রুচির মানুষ এই রুকুদেনাশিকো। আজ থেকে প্রায় দু’দশক আগে যখন শিল্পরাজ্যে প্রবেশ করেন তখনই যোনিকে তার শিল্পের মূল বিষয় হিসেবে বেচে নেন। চল্লিশোর্ধ রকুদেনাশিকোর দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন তিনি যোনি আকারের একটি বাড়ী বানাবেন। এ চিন্তা মাথায় রেখে অর্থ সংগ্রহে নেমেছিলেন ‘অনলাইন’এ। কিন্তু বিধি বাম! পুলিস তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে অবশ্য ছেড়েও দেয়।
জাপানে যৌন ব্যবসা রমরমা থাকলেও যৌনাঙ্গ প্রদর্শন এবং যৌনাঙ্গের চিত্রায়ন নিষিদ্ধ। রুকুদেনাশিকো কখনও কোন বিতর্কের তোয়াক্কা করেননি। তবে এযাত্রায় খুবই ফেঁসে গেছেন। টোকিওর জেলা আদালত তাঁকে অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে চার লক্ষ ইয়েন (৩ হাজার ৭০০ ডলার) জরিমানা করেছে।
নৌকাগুলি বিক্রির জন্য একটি দোকানে রাখার পরই তাঁর নামে মামলা হয়। কায়াক যখন প্রদর্শনীতে রাখা হয় তখন তা শিল্পকর্ম হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু বিক্রি করতে গেলেই তা অশ্লীল হবে বলে আদালতের রায়ে বলা হয়েছে।(উইকিপেডিয়া, গার্ডিয়ান ও আজকাল অবলম্বনে।)