এবার ১শ টি গাছ রোপণের শর্তে আরেক অভিযুক্তকে মুক্তিমৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান-এর আদালত সোমবার আরেকটি ব্যতিক্রমী ও দৃষ্টান্তমূলক রায় দিয়েছেন। গেল ২০১৫ সালের ১১ মার্চ তারিখে জুড়ী থানাধীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সম্মুখে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চন্দন কুমার দাস বাদী হয়ে মামলা দায়ের কারেন। এতে অভিযুক্ত করে অত্র এলাকার কবির আহমদ, মুহিবুর রহমান সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন কে আসামী করে জি. আর ২৬/২০১৫(জুড়ী) মামলা দায়ের করেন। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ৩২৩ ধারার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন আদালত। পরে অভিযুক্তদের জীবনে প্রথমবারের মতো অপরাধ বিবেচনায় ও তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুরুতর না হওয়ায় এবং আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে প্রায় ৭ বছর নিয়মিত হাজিরা দেয়ার কারণে আদালত তাদের-কে কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের সুযোগ প্রদান করেন। এতে “প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্সের ১৯৬০” অধীনে ১০০টি গাছ রোপন, নতুন করে কোনো অপরাধে জড়িত না হওয়া, মাদক সেবন থেকে বিরত থাকা, শান্তি রক্ষা ও সদাচরণ করা, আদালতের নির্দেশমত হাজির হওয়া ইত্যাদি শর্তে মুক্তি দেন আদালত। এই শর্তগুলো প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রবেশন কর্মকর্তা-কে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে আদালত কে অবহিত করবেন। মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাবেক পি,পি এ. এস. এম. আজাদুর রহমান বলেন দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধী কারাগারে আবদ্ধ কক্ষে নয়, মুক্ত বাতাসে পরিবার পরিজনের সান্নিধ্য পাবেন যা অভিযুক্তদের সংশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাবলিক প্রসিকিউটর রাধাপদ দেব সজল বলেন অধ্যাদেশটি অনেক পুরোনো হলেও প্রয়োগ ছিল না। উক্ত অধ্যাদেশটি বাস্তবায়নে প্রধান বিচারপতি মহোদয়ের নির্দেশনার আলোকে মৌলভীবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীতে এর দৃশ্যমান প্রয়োগ শুরু হয়েছে। গেল ২ আগষ্ট নুর মিয়া নামের আরেক অভিযুক্তকে এরকম বিবেচনা করে মুক্তি দেন আদালত। |