নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের আরেক ব্যক্তি জানান, বর্ষা মৌসুমে নদী থেকে বালু তুলে ৪/৫টি নৌকা বোঝাই করে নদীর ওপাড়ের বালাগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে বালুর স্তুপ করে রাখা হয়। এখান থেকে ইচ্ছে মত চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। জাহিদপুর গ্রামের মাধব চক্রবর্তী বলেন, আমাদের এলাকায় অবৈধ পথে বালু সিন্ডিকেটেরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা জাহিদপুরের চড় এলাকার নির্জন স্থান থেকে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে আসছে। তবে গেল ৩দিন ধরে জাহিদপুর থেকে সরে গিয়ে পাশের ভাটি এলাকার আব্দুল্লাহপুর থেকে বালু উত্তোলন করছে বাহিরের প্রভাবশালীসহ আব্দুল্লাহপুর ও জাহিদপুর গ্রামের অসংখ্য মানুষ। এদিকে কুশিয়ারা নদী থেকে চুরি করে বালু উত্তোলন করায় সম্প্রতি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বেকামুড়া এলাকার মনাই মিয়া নামের এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসক ও রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র কাছে পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি বলেন, সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার শেরপুর এলাকার লিটন মিয়া, জাহিদপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়া, মোঃ সালাম মিয়া, নানু মিয়া, কবির মিয়া, নোমান মিয়া, সঞ্জয় দাশ, আমীর আলী, এলাইছ মিয়া ও ডাক্তার রহমান’র পুত্র নানু মিয়া ড্রেজার মিশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। উল্যেখিতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেবার অনুরোধ জানান তিনি। এদিকে চুরি করে কুশিয়ারা নদীর জাহিদপুর থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এ বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক সহকারি কমিশনার(ভূমি), রাজনগরকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর সৈয়দ সাফফাত আলী স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়।
রাজনগর সহকারি কমিশনার(ভূমি) তানজিদা আক্তার রোববার বলেন, আমি গেল মাসের ২৮ তারিখে অফিসে যোগদান করেছি। খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।
এদিকে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল এক প্রশ্নের জবাবে রোববার বলেন, ওই অভিযোগের বিষয়টি মনে করতে পারছিনা। আসছিল হয়তো। তিনি বলেন, রাজনগর উপজেলা সদর থেকে নদীর তীরবর্তী জাহিদপুর এলাকা বহু দু
রে। এলাকাবাসী সাহায্য করলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। তিনি বলেন, এর আগে আমরা কুশিয়ারা নদীর জাহিদপুরে একাধিকবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এদের বিরোদ্ধে জরিমানা করেছি। |