বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লুট করে নিয়ে আসা মহামূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী সেসব দেশের কাছে ঋণের ভিত্তিতে ফেরৎ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বৃটিশ যাদুঘরের নতুন চেয়ার ব্যক্তিত্ব প্রবীন রাজনীতিক জর্জ ওসবোর্ন। পরামর্শ দিতে গিয়ে তিনি বলেন এই লেনদেনের মাধ্যমে আমাদের বহুমূল্যবান এসকল সামগ্রী এই প্রথমবারের মত আবার তাদের আসল মানুষজনের সম্প্রদায়ে দেখা যাবে।
বিশ্বের যাদুঘরদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে বৃটিশ যাদুঘর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি সাবধান করে দিয়ে বলেন যে, যাদুঘরের কোন সামগ্রী যেনো কোনভাবেই নষ্ট করা না হয়। যেহেতু অনেক দেশই তাদের সম্পদ তাদেরকে ফেরৎ দেয়ায় দাবী জানিয়ে আসছে।
সাবেক ‘চ্যাঞ্চেলার’ জর্জ ওসবোর্ন যিনি গত ২০২১সালে বৃটিশ যাদুঘরের চেয়ার হিসেবে দায়ীত্ব নেন, যাদুঘরের ট্রাষ্টিদের বার্ষিক নৈশভোজে তিনি এসব কথা বলেন।
গত বুধবার ২ নভেম্বর আয়োজিত উক্ত নৈশভোজ সভায় তিনি বলেন- বৃটিশ উপনিবেশিক আমলে যেসকল মহামূল্যবান সামগ্রী চুরি, ডাকাতি করে আনা হয়েছে “এসকল মহামূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী পুনরোদ্ধারের ধ্বনি আমি শুনতে পাচ্ছি।” গত শনিবার ৫নভেম্বর দৈনিক ইণ্ডিপেন্ডেন্ট এ খবর প্রকাশ করেছে।
|
যাদুঘরের বর্তমান চেয়ার ব্যক্তিত্ব সাবেক এই আচার্য্য(চ্যাঞ্চেলার) আরো বলেন যে, কিছু কিছু সম্প্রদায়ের মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের নিজস্ব দর্শনীয় সামগ্রী পাচ্ছে না এমন অবস্থা ঠিক নয়। এক্ষেত্রে দীর্ঘম্যাদী অংশীদারীত্বে লেন দেনের ব্যবস্থা করা যায়। এতে করে আমাদের মূল্যবান বহু দ্রব্যসামগ্রী তাদের মূল সম্প্রদায়ের কাছে যাবে যেখান থেকে এগুলো আনা হয়েছিল।
মি: ওসবোর্ন আরো বলেন, একটি সাধারণ যাদুঘরের চেতনায় আমরা বিশ্বাস করি বলেই এমন একটি বৈশ্বিক যাদুঘর আমরা নির্মাণ করেছি। আমাদের কয়েক প্রজন্মের নিবেদিত কাজের ফসল হলো আমাদের এই বৈশ্বিক বৃটিশ যাদুঘর। সুদীর্ঘকাল আমরা সযত্নে এসকল সামগ্রী সংরক্ষন করেছি অতএব কেনো আমরা এ সমস্যায় এগিয়ে আসবো না।
|
১৯৬৩ইং সনের বৃটিশ যাদুঘর বিধির উল্লেখ করে মি: ওসবোর্ণ বলেন যারা তাদের দাবী জোর দিয়ে বলতে পারছে না কোন আইন একাজে অজুহাত হতে পারে না। তিনি বলেন, সারা পশ্চিমা ভাষ্কর্যের প্রদর্শনী ঘর রূপান্তরীত করা হবে। গ্রিস, এথেন্স, মিশর, রোম, মেসোপটেমিয়া, আসিরিয়া প্রভৃতি দেশের নাম উল্লেখ করে সামগ্রী ফেরৎ দেয়ার বিষয় নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন আচার্য্য মি: জর্জ ওসবোর্ণ।
তবে দেশের সংস্কৃতি, সংবাদমাধ্যম, খেলাধূলা ও ডিজিটেল বিভাগ বলেছে যে, নিজেদের সংগ্রহ থেকে কোন সামগ্রী সরানোর বিষয়ে বৃটিশ যাদুঘর আইনের বাধায় আবদ্ধ। আর এ আইন পরিবর্তনের কোন পরিকল্পনা সরকারের নেই।
|