হাওর অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলায় দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর সহ ছোট বড় ৮টি হাওর রয়েছে। জেলার সিংহ ভাগ মানুষ হাওরের এক ফশলী বোরো ধানের উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে হাওর পারের লোকজন বোরো চাষাবাদ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। এটাই হাওর অঞ্চলের কৃষকদের আয়ের একমাত্র উৎস। এদিকে দেশের চলমান অর্থনীতিক সংকটে হাওর অঞ্চলের কৃষকরা কষ্টে দিননিপাত করছেন। পরিবারের প্রয়োজনীয় খরচ চালানোর পরে অর্থের অভাবে উৎপাদনশীল উদ্যোগ হাতে নিতে পারছেন না। আবার কেউ কেউ দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা এনে সম্বল হারিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি ব্যাংক গুলো কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোয়ে কিছুটা স্বস্থি পেয়েছেন কৃষকরা। ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, অর্থ বছরে হাওরে বোরো চাষাবাদের জন্য কৃষকদের মধ্যে জেলায় সোনালী ব্যাংক ১৬টি শাখার মাধ্যমে ৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ও কৃষি ব্যাংক ১৫টি শাখার মাধ্যমে ২১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা ১ হাজার ৮ শত ৪০ জন কৃষকের মধ্যে ঋণ বিতরণ করেছে। তবে এ পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটা কম। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কৃষক আনছার আহমদ ও শ্রী দীপেস চন্দ্র সহ একাধিক কৃষক বলেন, কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আমরা বোরো চাষাবাদ করতে পারছি। ব্যাংক থেকে টাকা নেয়ার কারণে অন্যের কাছ থেকে ধার-দেনা করতে হয়নি। অন্যতায় আমাদের দাদন ব্যবসায়ীদের ধারস্থ হতে হতো। সোনালী ব্যাংক মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দোলন কান্তি চক্রবর্তী বলেন, জেলায় সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে কৃষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ দেয়া হচ্ছে। কৃষি ব্যাংক মৌলভীবাজারের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মমিনুল ইসলাম বলেন, এবার ১ হাজার ৮শত ৪০ জন কৃষকের মধ্যে রোরো উৎপাদনে ২১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রকৃত কৃষকরা ঋণ নিতে আসলে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে না। |