শ্রীমঙ্গলে ব্যবসায়ী মোঃ আলকাছ মিয়াসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা ও আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ২রা মে মঙ্গলবার সকালে ভূনবীর চৌমুহনায় সকল ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকাদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, এলাকায় সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীদের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা ও আহত হওয়ার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান, দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। সন্ত্রাসীদের সতর্ক করে বক্তারা বলেন, যে কোন হামলা বা অরাজকতার বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবেলা করবো। আমরা এখন থেকে এব্যাপারে সোচ্চার এবং এক জোট।
এসময় বক্তব্য রাখেন শ্রীমঙ্গল হবিগঞ্জ রোডের সিএনজি গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম,ভূনবীর চৌমুহনা বাজারের উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি মো.বারিক মিয়া, ভূনবীর চৌমুনা বাজার মালিক কমিটির সভাপতি মতিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সুনাই মিয়া, ব্যবসায়ী কমিটির সহ- সভাপতি জারু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় অবৈধ বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে উপজেলার আলীসারকুল গ্রামের বালু ব্যবসায়ী জলিল মাহমুদের ভাইপো ও মৃত জয়নাল মেম্বারের পুত্র জাহিদুল ইসলাম রনির দায়ের কোপে বুলবুল আহমদের হাত কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝুলে যায়। এসময় আরও কয়েকজন আহত হয়।
এ ব্যাপারে আলকাছ মিয়ার পুত্র আহত বুলবুল আহমদের বড়ভাই ফেরদৌস আহমদ বাদী হয়ে জলিল মাহমুদ, জালাল মিয়া, জাহিদুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীরসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করে। আহত বুলবুল আহমদের বড়ভাই ফেরদৌস আহমেদ বলেন, পূর্বপরিকল্পিত ভাবে জলিল মাহমুদ গং এই হামলা চালায়।
উল্লেখ্য, শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২ নং ভূনবীর ইউনিয়নে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বালু ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, ঘটনার পর থেকেই পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।
নিউজটি শেয়ার করতে বাটনের উপর ক্লিক করুন