১৯৭১সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানী দথলদার বাহিনীর দ্বারা সংগঠিত গণহত্যার বিষয়ে নেদারল্যাণ্ডের জাতীয় সংসদে একটি দরখাস্ত উপস্থাপন করার ব্যাপারে কাজ চলছে এবং অচিরেই এই অভিযোগ আনা হবে। এমন সংবাদটি অলন্দাজ মানবাধিকার কর্মী হ্যারি ভন বম্মেল জানিয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করেছেন বাংলা দেশের ইংরেজী দৈনিক ষ্টার। শুধু তাই নয়, অলন্দাজ সংসদে এই অভিযোগের পক্ষে বাস্তব সাক্ষি তুলে ধরে অভিযোগটির যুক্তিযৌক্তিকতা প্রমানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নেদারল্যাণ্ড সংসদের প্রাক্তন এই সাংসদ, মুক্তিযুদ্ধে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যার সংরক্ষিত আসল কাগজপত্র নিজেদের চোখে দেখা ও পড়ার জন্য ইউরোপ থেকে ৫ সদস্যের একটি দল নিয়ে গত ২১ মে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
বাংলাদেশে পাকিস্তানীদের ওই গণহত্যাকাণ্ডের আইনী সত্যতা নিরুপন ও এ গণহত্যার বিচারের জন্য বিশ্বমানুষের কাছ থেকে সমর্থন আদালয়ের লক্ষ্যে গণহত্যার সকল কাগজপত্র, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সমূহের জীবিত সদস্যদের বিষয় বিবরণ সংগ্রহ করে একখানা পুস্তিকা প্রকাশের জন্য প্রাক্তন এই সাংসদ ‘হ্যারি ভন বম্মেল’ প্রস্তাবনা রেখেছেন।
‘হ্যারি ভন বম্মেল’ ১৯৯৮সালের মে থেকে ২০১৭সালের মার্চ অবদি ১৯বছর ব্যাপী অলন্দাজ সাংসদ ছিলেন। বাংলাদেশে দখলদার পাকিস্তানীদের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে অলন্দাজ এই প্রাক্তন সাংসদ বলেন যে, গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জীবিত লোকজনকে সাহায্য পেতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত ওই সকল পরিবারের মানুষজনের মনে ন্যায় বিচারের অনুভূতি জাগাবে। গণহত্যার শিকার ওই সকল পরিবারকে যে অকথ্য নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে, নৃশংসতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি তাদের মনে এই সান্তনা দেবে যে মানুষের সমাজে বিচার আছে। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কেউই পার পেয়ে যেতে পারবেন না।