সিলেট বিভাগের তৃণমূল পর্যায়ের সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী সিলেট বিভাগীয় সাহিত্যমেলার উদ্বোধন হয়েছে। বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়।
৩ জুন শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেটের কবিনজরুল অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সিলেট বিভাগীয় সাহিত্য মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।
সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সাহিত্য মেলায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন কালে, তৃণমূল পর্যায়ে কবি, সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে বিভাগীয় শহর ও জেলায় জেলায় সাহিত্য সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এই নির্দেশনার আলোকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা ও বাংলা একাডেমির সহায়তায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই সাহিত্যমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা আপনাদের এলাকায় ছুটে এসেছি আপনাদের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার খোঁজ নিতে, আপনাদের পাশে দাঁড়াতে। আমরা চাই, আপনাদের শিল্প-সাহিত্য মূলধারার শিল্প-সাহিত্যের সঙ্গে যোগসূত্র রচনা করুক। তাই আজকের এই সাহিত্য সমাবেশ নানা দিক থেকেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যে কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উদ্যোগে আমরা ‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’ প্রতিষ্ঠা করেছি।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদার সভাপতিত্বে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে ছিল প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনা। সিলেট বিভাগের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ।
প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন বিশিষ্ট কবি ও গবেষক ড. মোস্তাক আহমাদ দীন ও বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতি গবেষক ও প্রাবন্ধিক সুমনকুমার দাশ, এরপর সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট বিভাগের শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।