মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর চা বাগানে নিরিখ(পাতি উত্তোলন) বাড়ানোর প্রতিবাদে ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছেন নারী শ্রমিকরা। ১৮ কেজি পাতি উত্তোলনে নিরিখ ছিল। বর্তমানে কর্তৃপক্ষ ২০ কেজিতে নিরিখ করার প্রতিবাদে সভা করে লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত রোববার(১৩ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় আলীনগর চা বাগানের মহামায়া মন্দির প্রাঙ্গনে শ্রমিকরা প্রতিবাদ সভায় মিলিত হন। চা শ্রমিকরা জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চা বাগানের টিলা-টক্করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পাতি উত্তোলন করতে হয় নারী শ্রমিকদের। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে কেউ নিরিখ পুরো করে আবার কেউ নিরিখ পুরো করতে পারেন না। নিরিখের চেয়ে ১ কেজি কম হলে ১০ টাকা কেটে রাখা হয়। আর এক কেজি বেশি তুললে দ্বিগুণ দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয় মাত্র ৪ টাকা। এরই মধ্যে চা বাগান ম্যানেজমেন্ট ১৮ কেজির স্থলে ২ কেজি বাড়িয়ে ২০ কেজিতে নিরিখ করে নারী শ্রমিকদের উপর চাপ বৃদ্ধি করেছে। এর প্রতিবাদে গত রোববার সন্ধ্যায় আলীনগর চা বাগানের নারী নেত্রী গীতা গোয়ালার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন শুকরমনি, দয়াশংকর কৈরী, উসমান আলীসহ চা বাগানের নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা। তারা বলেন, চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি মাত্র ১৭০ টাকা। তাতে নিরিখে ১৮ কেজি পাতি উত্তোলন করলে প্রতি কেজি পাতির মূল্য দাঁড়ায় ৯ টাকা পয়তাল্লিশ পয়সা। শ্রম আইনে রয়েছে অতিরিক্ত উত্তোলনে দ্বিগুণ মজুরি দেয়ার কথা। তাতে এক কেজি পাতি বেশি উত্তোলন করলে যেখানে ১৮ টাকা পাওয়ার কথা সেখানে নারীদের ঠকিয়ে দেয়া হয় মাত্র ৪ টাকা। বর্তমানে আবার ২০ কেজি নিরিখ করে নারীদের উপর শোষণের মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং পূর্বের ১৮ কেজিতে নিরিখ বহাল রাখার বিষয়ে তারা দাবি জানান।