মসজিদে নিলামে ডিম ও আতাফল
মসজিদে নিলাম হয় তা’জানা ছিল না। আর এমন এক নিলামের ঘটনা ঘটেছে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পৃথক দু’টি এলাকার মসজিদে। ১টি ডিম ও ১টি আতাফল নিলামে ২০ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
জানা যায় যে, রোববার(৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় শ্রীমঙ্গল জামে মসজিদে নিলামে ১টি আতাফল ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। শ্রীমঙ্গল শহরের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ওই আতাফলটি ১ হাজার ৫০০ টাকায় কেনেন। এসময় নিলামে অংশগ্রহণকারী ক্রেতা-বিক্রেতা ছাড়াও অনেক উৎসুক মানুষ এ নিলাম দেখতে ভিড় জমান।
এদিকে গতকাল একই উপজেলার মির্জাপুর বাজার এলাকায় ১টি ডিম উন্মুক্ত নিলামে ৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে শেষ অবদি দাম গিয়ে ঠেকে ১৯ হাজার টাকায়। ডিমটি কেনেন সালেহ আহমদ নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। এসময় নিলামে অংশগ্রহণকারী ক্রেতা-বিক্রেতা ছাড়াও অনেক উৎসুক জনতা এ নিলাম দেখতে ভিড় জমান।
আমেরিকায় বসবাসরত শ্রীমঙ্গলবাসীদের সামাজিক সংগঠন “শ্রীমঙ্গল এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক্” এর পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
গত সোমবার, ১এপ্রিল, দুপুরে শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডস্থ হোটেল ইছাকী এমোসে প্রায় ৭ শত পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শ্রীমঙ্গল এসোসিয়েশন অবআমেরিকা ইনক্ এর উপদেষ্টা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আছকির মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল পৌর মেয়র মহসীন মিয়া মধু।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক, সংগঠনের উপদেষ্টা লুৎফে এলাহি মবু, সমাজকর্মী এম এ রহিম নোমানি, ব্যবসায়ী শম্ভু দত্ত। অনুষ্ঠানে আমেরিকা থেকে ভার্চুয়াল যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি মামুনুর রশিদ শিপু, সাধারণ সম্পাদক সুফিয়ান চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোস্তাক এলাহি চেমন ও ইমদাদুল হক প্রমুখ।
সাংবাদিক সৈয়দ ছায়েদ আহমেদ এর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের স্থানীয় সমন্বয়কারী ইকরামুল ইসলাম ইমন ও শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ মামুন আহম্মেদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সহযোগীতা করেন সাইফুদ্দিন লিটন, মো: খালেদ হোসেন ও সৌদি প্রবাসী মোয়োজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
গেল অমর একুশে ২০২৪ বইমেলায় অনুজ প্রকাশন এর ৩টি বইয়ের মধ্যে বিক্রিতে সকলের উপরে প্রথম স্থান দখল করে রেখেছে তরুণ লেখক কয়েস সামীর ‘প্রবেশ নিষেধ’, ২য় স্থানে মুহাম্মদ জাহিদ হোসাইনের ‘রাত্রিহরণ’ এবং ৩য় স্থানে আহমেদ শিমুর ‘অচেনা পথে চেনা মানুষ’। এই বইগুলো পুরো বাংলাদেশে অনেক সাড়া ফেলেছে। এছাড়াও সদ্য সমাপ্ত বইমেলায় রকমারির ফিকশন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ বিক্রিত বই হিসেবে স্থান করে নিয়েছিল ‘প্রবেশ নিষেধ’।
রাতারাতি জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক কয়েস সামী পেশায় একজন ব্যাংকার। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির নেশায় আসক্ত। ছড়া, কবিতা, গল্পসহ অনেক লেখা স্থান পেয়েছে জাতীয় এবং স্থানীয় অনেক মাধ্যমে। লেগে থাকা এবং নেশা দু’টির কারণেই সাফল্যের হাতছানি। এসবের অনুপ্রেরণা, পড়ায় আসক্তি, পরিবেশ, সহপাঠী এবং ‘অনন্য শ্রীমঙ্গল’। এই শ্রীমঙ্গলেরই কৃতি সন্তান কয়েস সামী। পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক আব্দুল মান্নান ছিলেন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়ানুরাগী এবং শ্রীমঙ্গলের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সেরা বিক্রিত বইয়ের লেখক কয়েস সামী বলেন, একটা প্রকাশনীর লেখকদের মধ্যে বেস্ট সেলার হওয়ার মতো ঘটনা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণাদায়ক। আমার সকল পাঠকদের প্রতি সীমাহীন কৃতজ্ঞতা। অনুজের অন্য দুই লেখকের জন্য শুভকামনা।
আমার লেখা তিনটি থ্রিলার- টিউশনি, হেল্পিং হ্যান্ড আর প্রবেশ নিষেধ! এর প্রথমটি মৌলিক, আর বাকিগুলো বিদেশি উপন্যাস অবলম্বনে।
প্রবেশ নিষেধের কিছু কথা- প্রেম-অপ্রেম, ভালোবাসা, বিশ্বাসঘাতকতার অদ্ভুত দোলাচল মেশানো এক টানটান উত্তেজনাপূর্ণ থ্রিলার ‘প্রবেশ নিষেধ’।
অকল্পনীয় একটা অপরাধ করে ফেলেছে সানজানা। স্বামী সায়হামকে খুন করে ফেলেছে সে! সে এখন কী করবে? ক্রাইম সিনে থেকে গিয়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করবে? নাকি পালিয়ে যাবে?
অনেক চিন্তা ভাবনা করে সে পালাবার সিদ্ধান্ত নিলো। তার এতদিনের সাজানো সংসার, চাকরি, বড়ো বোন ফারজানা- সবকিছু পেছনে ফেলে সে ঘর থেকে বের হয়ে গেল অজানার উদ্দেশ্যে। পুলিশ ক্রাইম সিনে পৌঁছাবার আগেই সে চলে যেতে চায় বহুদূর।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাকে গভীর রাতে আশ্রয় নিতে হলো ঢাকা থেকে অদূরে অবস্থিত প্রায় পরিত্যক্ত একটা রিসোর্টে। তিন্নি’স রিসোর্টে আশ্রয় নেয়ার পর সে জানতে পারলো, দু’বছর আগে এখানেই খুন হয়েছিল নার্গিস নামের একটা মেয়ে। অন্যদিকে, পাশের দোতলা থেকে তার দিকে তাকিয়ে আছে এক নারী ছায়ামূর্তি।
একদিকে পুলিশের ভয়, অন্যদিকে তিন্নি’স রিসোর্টের ভয়ংকর ইতিহাস আর সেই ছায়ামূর্তি! কী করবে সানজানা? এমনই জমানো একটি থ্রিলার ‘প্রবেশ নিষেধ’। পুরোটা পাঠ করে তৃপ্তি পাবেন পাঠকরা, এই আশাবাদ লেখকের।
লেখকের আরেকটি বই “টিউশনি” প্রকাশিত হয়েছে অডিও বুক হিসেবে। সময়ের অভাবে যাদের বই পড়া হয়ে উঠে না তারা চাইলে কাব্যিক অ্যাপ এ অডিওবুক হিসেবে শুনে ফেলতে পারেন গল্পটি। ধীরে ধীরে অডিও বুক জনপ্রিয় হচ্ছে।
উল্লেখ্য, টিউশনিতে শ্রীমঙ্গলের পাঠকদের জন্য রয়েছে আলাদা একটা ব্যাপার। আছে ভিক্টোরিয়া খেলার মাঠ। আছে মিশন রোড, কলেজ রোডসহ আরো অনেক পরিচিত জায়গা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সফলতার সাথে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের সেঁজুতি দেবী।
শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের গার্ল ইন রোভার সেঁজুতি দেবী শুচি এবার (শিক্ষাবর্ষ-২০২৩-২০২৪) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সফলতার সাথে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সে মানবিক বিভাগ থেকে ২০২১ সালে SSC এবং ২০২৩ সালে HSC উভয় পরীক্ষায় GPA-5 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
এ ছাড়াও সে PSC ও JSC উভয় বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করে। SSC ও HSC তে ভালো ফলাফলের জন্য সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে বৃত্তি লাভ করে। সে গার্ল-ইন রোভার ইউনিটের সদস্য। সেঁজুতি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ এ জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্র সংগীতে ১ম স্থান এবং বাংলাদেশ স্কাউটস এর স্পেসাল ইভেন্টস কর্তৃক আয়োজিত সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০২৩ এ জাতীয় পর্যায়ে সঙ্গীতে(রবীন্দ্র সংগীত) ১ম স্থান অর্জন করেছিল।
মৌলভীবাজারে লিডার প্রকল্পের অগ্রগতি ও শিখন সভা অনুষ্ঠিত
মৌলভীবাজারে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, বিসিএসইউ, নারী চা শ্রমিক ও কিশোরী এবং চা বাগান কর্তৃপক্ষের সাথে লিডার প্রকল্পের অগ্রগতি ও শিখন সভা অনুষ্ঠিত।
গত বুধবার(২৭ মার্চ) মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অক্সফ্যাম ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর সহায়তায় এবং ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর উদ্যোগে লিডারশীপ এমবডি এসোসিয়েশন ডিমানডিং টু এনশিওর রাইটস(লিডার) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন, চা বাগান নারী চা শ্রমিক ও কিশোরী সংগঠন এবং চা বাগান কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে লিডার প্রকল্পের অগ্রগতি ও শিখন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’ এর পরিচালক মো.জাহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং প্রকল্প কো-অডির্নেটর পারভেজ কৈরী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহিনা আক্তার, শ্রীমঙ্গল উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত, কমলগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক নিপেন পাল, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাহেদা আক্তার এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: হাবিবুর রহমান।
প্রকল্পের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর উপ পরিচালক ড. মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান। অনুষ্ঠানে লিডার প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’-এর মৌলভীবাজার, সিলেট এবং হবিগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী পারভেজ কৈরী বলেন, প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধে চা বাগানের নারী শ্রমিক ও কিশোরী মেয়েদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানো এবং দায়িত্ব বাহককে জবাবদিহি করা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মৌলবীবাজার জেলায় সুন্দরভাবে উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’কে ধন্যবাদ জানান একই সাথে প্রকল্পটি চলমান রাখার বিষয়ে অক্সফ্যাম এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, এখানে আজ সুপারিশ আকারে যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে এগুলো বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হবে।