কালবৈশাখী ঝড়ে সবকিছু লন্ডভন্ড
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হঠাৎ বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বন্ধ হয়ে যায় রেল ও সড়ক যোগাযোগ। ৩ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর সন্ধ্যা ৭.৪৫ মিনিটে রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপন হয়।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শুরু হওয়া ঝড়ে ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি ও বড় বড় গাছ। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টাব্যাপী এই ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ের পূর্বে অল্প শিলাবৃষ্টি হলেও শিলার আকার বেশ বড়। শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে হাওরের বোরো ফসল ও সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এবং গাছ উপড়ে পড়ায় ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কসহ অভ্যন্তরীণ অনেক সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলা শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে সড়কে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে আছে। উপজেলার ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিছিন্ন রয়েছেন।
শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুতিক খুঁটি ও ট্রান্সফরমারের ওপর গাছ পড়ে তা ভেঙে পড়েছে। শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ও টিনের চাল ঝড়ে উড়ে গেছে। কিছু জায়গায় টিনের চালের ওপর বিশাল বিশাল গাছ পালা ভেঙে পড়েছে।
শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার। ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ৬ মিনিট।