1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস ২০২৪ - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস ২০২৪

শোভি জিবরান॥
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১০০ পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস ২০২৪
বর্ষা বিপ্লবের আদর্শে ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার
ডাক দিয়েছে গণমুক্তি মঞ্চ

তীব্র বৃষ্টির মাঝেও গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উদযাপন করে গণমুক্তি মঞ্চ। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দর্শণ, চিন্তা ও অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক এ সভায় ঘটে যাওয়া সময়ের স্মৃতিচারণ করা হয়।

কিভাবে একটা সাধারণ কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে রুপান্তরিত হওয়া, এমনকি নির্বিচারে ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ, গণহত্যা পরিচালনা, সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে এক কাতারে নিয়ে আসা, দীর্ঘকালের পরাধীনতার গ্লানি মুছে ঘুরে দাঁড়ানো এবং ইনসাফের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রদের ডাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দিকে রুপান্তর করা – এসব নিয়ে অভিজ্ঞতা আদান-প্রদান করেন বক্তারা।

যাদের প্রাণের বিনিময়ে স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটেছিল, একইসাথে নতুন গণতান্ত্রিক এবং ইনসাফের এই ভবিষ্যতের দিকে আজকের এ যাত্রার সূচনা – আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উদযাপনের এই মুক্ত মঞ্চে সেই সময়ের অভিজ্ঞতা, মানুষের দর্শণ এবং চিন্তাগুলোকে তুলে ধরা হয় এ সমাবেশে।

গণমুক্তি মঞ্চ মনে করে, রাষ্ট্রের বৈষম্যবিরোধী জনগণ যদি এই বর্ষা বিপ্লবকে ধারণ করতে পারে, কর্মশক্তিকে কাজে রুপান্তরিত করতে পারে, তবেই এই আত্মত্যাগ, এই গণঅভ্যুত্থান সফল হবে। প্রতিকূল আবহাওয়াতেও গণমুক্তি মঞ্চের এই অবস্থান সমাবেশ, বর্ষা বিপ্লবের এই মশাল আলোকিত রাখতেই অল্প জনসমাগম নিয়ে সমাবেশ চালিয়ে যায়। গণমুক্তি মঞ্চ এই বার্তাই দিতে চায়, বৃষ্টি এমনকি অশনিসংকেতের সময়েও, সৎ মানুষের স্বার্থ রক্ষায় গণমুক্তি মঞ্চ তার কথা বলা অব্যাহত রাখতে চায়।

 

 

মঞ্চের আহ্বায়ক ও প্রধান সমন্বয়ক সাকিব প্রত্যয় বিশেষভাবে বলেন, “গণতন্ত্র মানে শুধু একদিন ভোট দিতে যাওয়া নয়। মানবাধিকারের সুরক্ষা, সংখ্যালঘুদের ক্ষমতায়ন এবং নাগরিক অভিপ্রায়ের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য অত্যাবশ্যক।”

তিনি আরও বলেন, “জনগণই রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক এবং তাদের অভিপ্রায়ই বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্মাণ করবে।”

এ দিনে আরো যারা আলোচকরা করেন- সাকিব প্রত্যয়, আহ্বায়ক ও প্রধান সমন্বয়ক-গণমুক্তি মঞ্চ, আরিফ সোহেল- বৈ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পঙ্কজ বাঁশফোঁর- হরিজন সম্প্রদায় নেতা, সজিব তুষার- সাংগঠনিক সমন্বয়ক, গণমুক্তি মঞ্চ; নাসির উদ্দিন- ভূমিহীন কৃষক নেতা, দিদারুল ভূঁঈয়া- নির্বাহী কমিটির সদস্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দলন, মুনতাসির রহমান- চেয়ারপার্সন- ব্যঞ্জণা ফাউন্ডেশন, মানবাধিকার সমন্বয়ক, গণমুক্তি মঞ্চ; ফারিয়া সরণী ভাষা- ২০১৩ সালে শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডে নিহত বুয়েটের রেহানের বোন, ব্যারিস্টার সারা হোসেন- আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, সাকির মাটি- প্রতিষ্ঠাতা, পথের ইশকুল; ইমার্জেন্সি রেসপন্স কোঅর্ডিনেটর- গণমুক্তি মঞ্চ, গণেশ মুর্মু- সাঁওতাল নেতা, নৌশীন নুর- আইনজীবী ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন; নফিউল ইসলাম- লেখক, সমালোচক, ইসলামিক ভাবুক ও শোভি জিবরান, সাংবাদিক ও গণযোগাযোগ সমন্বয়ক, গণমুক্তি মঞ্চ।

 

 

গণমুক্তি মঞ্চের সমন্বয়কেরা মঞ্চের মূলনীতি ও আলোচ্য বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন। সম অধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং বিকেন্দ্রীত গণতন্ত্র; তারা বিশ্বাস করেন, মেধাবাদ বা যোগ্যতা ভিত্তিক কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত হলে এবং সুশাসনের মাধ্যমে এসমস্ত বিষয় অর্জন করা সম্ভব। পরিবার চালিত সামন্ততান্ত্রিক রাজনীতি এক কথায় পরিবারতন্ত্র, ধনিক শ্রেণী বান্ধব নীতি নির্ধারণ, গুণ্ডাতন্ত্র এবং যে কোনও ধরণের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণমুক্তি মঞ্চের তীব্র বিরোধিতাকে স্পষ্ট করে তুলে ধরেন বক্তারা।

সমাবেশটি কেবল একটি দিবসের উদযাপন নয়, উদ্যোক্তাদের মতে, এটি একটি শক্তিশালী এবং স্বচ্ছ অবস্থান, বাংলাদেশ ২.০’র পক্ষের অবস্থান, গণতন্ত্র ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ হিসেবে। গণমুক্তি মঞ্চ, যেকোন ধরণের বাধার বিপরীতে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের সকল সৎ নাগরিকের স্বার্থ রক্ষার শপথ নিয়েছে গণমুক্তি মঞ্চ।

সমাবেশে উপস্থিত সকলে বিশ্বাস করেন, গণতন্ত্র একটি সম্মিলিত প্রয়াস, রাষ্ট্রীয় বিষয়ে চূড়ান্ত কর্তৃত্ব নাগরিকদের হাতেই থাকতে হবে। দেশবাসীকে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং দেশের ভেতরে কর্তৃত্ববাদী কাঠামো ভেঙে অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন দেশ গড়ার কাজে লেগে যেতে সকলকে আহবান জানান গণমুক্তি মঞ্চের সমন্বয়কেরা।

সমাবেশে জুলাই বিপ্লবের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। নতুন বাংলাদেশ গড়তে – ইনসাফ, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং সম অধিকারের ভিত্তিতে – প্রতিটি সৎ নাগরিককে কাজ করতে হবে। সভায় গণমুক্তি মঞ্চ এই নীতিগুলির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে এবং দেশের ভবিষ্যত গঠনে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে।

ভবিষ্যত দৃষ্টিভঙ্গি প্রসঙ্গে গণমুক্তি মঞ্চ জনগণের ক্ষমতায়ন এবং সমান অধিকারের জন্য লড়াই করবে। একইসাথে একটি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। গণমুক্তি মঞ্চ একটি শক্তিশালী এবং ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে ভবিষ্যতের কার্যক্রম এবং উদ্যোগের মাধ্যমে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করতে চায়।

গণমুক্তি মঞ্চের লক্ষ্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তারা বলেন- ১৫ই সেপ্টেম্বরকে সফলতার সাথে উদযাপন ছাড়াও, গণমুক্তি মঞ্চ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দর্শণ ও অভিজ্ঞতাকে ধারণ করতে ভবিষ্যতে আরো উদ্যোগের পরিকল্পনা করছে, যাতে ঐক্য ও ইনসাফের সেই দৃশ্যমান স্পিরিটকে বাংলাদেশ ২.০ নির্মাণে কাজে লাগানো যায়।

গণমুক্তি মঞ্চ বা প্রগ্রেসিভ লিবারেশন প্ল্যাটফর্ম হলো বাংলাদেশের নাগরিকদের ক্ষমতায়ন, রাজনৈতিক অধিকারের প্রচার এবং ইনসাফ ভিত্তিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য নিবেদিত একটি নাগরিক সংগঠন। [সংবাদ বিজ্ঞপ্তি]

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT