বন কেটে উজাড় করা হচ্ছে। পাহাড় কেটে মাটি বিক্রিকরে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা হচ্ছে। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। বন ছেড়ে অবুজ প্রানীকূল জীবন রক্ষার কারণে লোকালয়ে চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে। গত কয়েকমাস আগে লোকালয়ে ধরা পড়ে অজগর সাপ। এবার ধরা পড়লো অবুজ নিরীহ প্রানী বানর। ভাগ্যিস যে অবুজ মানবজাতি তাকে প্রানে বধ করেনি।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থেকে একটি বানর উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রাম থেকে বানরটি উদ্ধার করে বন বিভাগ।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পতনঊষার ইউনিয়নের কেওলার হাওর এলাকায় বানরটি ঢুকে পড়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দা তানভীর চৌধুরী, ইমানুল হক চৌধুরী, মাহমুদ মিয়া, জাহিদ চৌধুরী ও জামানুল হক চৌধুরী বানরটিকে আটকে রেখে বনবিভাগকে খবর দেন। পরে বন বিভাগ এসে বানরটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।
মৌলভীবাজার বন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বানরটি সুস্থ থাকলে মঙ্গলবার বিকেলেই লাউয়াছড়া বনে অবমুক্ত করা হবে।
মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে পুলিশী অভিযানে ভারতীয় শাড়িসহ সিএনজি আটক করছে পুলিশ। গত সোমবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওমর ফারুকের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ৬ বস্তায় ৯০ পিছ ভারতীয় শাড়ি, ১টি সিএনজি অটোরিক্সা(মৌলভীবাজার -থ ১২-২৫৬৯) আটক করা হয়। তবে পুলিশের অবস্থিতি টের পেয়ে ভারতীয় শাড়ি ও সিএনজি গাড়ি রেখে আসামিগণ পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় শাড়ির আনুমানিক বাজার মূল্য ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৬টি বস্তায় ৯০ পিছ ভারতীয় শাড়ি ও একটি সিএনজি অটোরিক্সা আটক করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শাড়ীসহ সিএনজি রেখে আসামিরা পালিয়ে যায়। কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শামীম আকনজী বলেন, এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মৌলভীবাজাররে সীমান্ত এলাকায় শারদীয় দূর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পুজা শুরু হওয়ার ১০ দিন পূর্ব থেকে বিসর্জন ও শান্তিবারি সিঞ্চন পর্যন্ত নিরাপত্তার কাজ করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড(বজিবি) শ্রীমঙ্গল সেক্টর ও ৪৬ ব্যাটালিয়ান। ফলশ্রুতিতে সারা দেশের সাথে মৌলভীবাজারের সীমান্ত এলাকায়ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হযেছে শারদীয় দূর্গাপূজা।
বিজিবি শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক জামাল হোসেন জানান, পূজা শুরু হওয়ার আগে যখন প্রতিমা প্রস্তুতি চলছিল তখন থেকেই বিজিবির পক্ষ থেকে জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়। তিনি জানান, এসব এলাকা একাধিকবার পরিদর্শন করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ শ্রীমঙ্গল সদর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, কর্নেল এ এইচ এম ইয়াসীন চৌধুরী, পিএইচডি ও শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন(৪৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক, লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সিকদার।
কমলগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণীত রঞ্জন দেব নাথ বলেন, এ বছর কমলগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় পূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিজিবির নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনি বলেন, ১৩ অক্টোবর শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন(৪৬ বিজিবি)-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কমলগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত ইসলামপুর ইউনিয়নের পূজা মন্ডপ সমূহের প্রতীমা বিসর্জন পরিদর্শন করেন এ সময় বিজিবির অন্যান্য অফিসার ও সদস্যগণও উপস্থিত ছিলেন।
এ সময সেক্টর কমান্ডার বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যাতে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে পূজা উৎসব পালন করতে পারে সে জন্য গত ৫ অক্টোবর হতে শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন(৪৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় ১৪টি বিওপিতে অতিরিক্ত ০৮ প্লাটুন জনবল মোতায়নে করে।
শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন(৪৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক, লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সিকদার জানান, সীমান্তের ৮ কিঃ মিঃ এর মধ্যে সকল পূজামন্ডপে বিজিবি কর্তৃক প্রতিনিয়ত দিবারাত্রি টহল পরিচালনা করা হয় এবং পূজামন্ডপ সমূহের সদস্যদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। ফলে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ব্যতিরেকে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপন সম্পন্ন হয়ছে।
কমলগঞ্জে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে মন্দির সংস্কার ও অসচ্ছল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক বিতরন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে মন্দির সংস্কার ও অসচ্ছল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অমূল্য কুমার সিংহ, সাবেক পৌর বাউন্সিলর সৈয়দ জামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন বলেন, সকল ধর্মের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিধানে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব উৎসবমুখর ও নির্বিঘ্নে পালনের জন্য সরকার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবসন্থা গ্রহণ করেছে।
অনুষ্ঠানে কমলগঞ্জ উপজেলার ৮টি মন্দির সংস্কারের জন্য ২০ হাজার টাকা করে ও ৯ জন অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের কাছে ৫ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।