1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
ডক্টর আবেদ চৌধুরী ও 'পঞ্চব্রীহি' - মুক্তকথা
রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন

ডক্টর আবেদ চৌধুরী ও ‘পঞ্চব্রীহি’

মৌলবীবাজার থেকে সংবাদদাতা॥
  • প্রকাশকাল : রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ০ পড়া হয়েছে

ডক্টর আবেদ চৌধুরী’র গবেষণার ফসল পঞ্চব্রীহি ধান
কাউয়াদিঘী হাওরে চারা রোপণ করতে এসে যা জানালেন

বিশিষ্ট জিন বিজ্ঞানী ডক্টর আবেদ চৌধুরী বলেছেন- “ধান বেগুন ঢেরেস ও গমকে পঞ্চব্রীহি গুণের ধানে রূপান্তর করেছি। অন্যান্য ফসলকে পঞ্চব্রীহি করতে না পারলেও তৃব্রীহি ও চতুর্ব্রীহি করার কাজে আমরা নিয়োজিত রয়েছি।”

বুধবার জেলার রাজনগর উপজেলার রক্তা এলাকার কাউয়াদিঘী হাওরে বৃক্ষ রোপণ অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।
জেলার কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা ডক্টর আবেদ পঞ্চব্রীহি বুঝাতে গিয়ে বলেন, যে অগ্রগতিটা হয়েছে, এটা পূর্ণতা লাভ করেছে এভাবে যে, আমরা ১শ’র অধিক ‘ভেরাইটি’ তৈরি করেছি, যাতে অনেক বেশি বেড়ে যায়। তো সব কিছু এখনো আমার গ্রামে রিচার্জ ল্যাবেলে রয়ে গেছে। এটাকে আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে দেবো। সেই আয়োজনটি আমরা করছি, যাতে বীজ অনেক বেশি বৃদ্ধি হয়।

তিনি বলেন, বীজগুলোর আলাদা ‘এগ্রসি’ রয়েছে। এটার পরিচর্জা লাগবে। এটা সম্পূর্ণ নতুন একটা ‘এগ্রসি’। ডক্টর আবেদ বলেন, সেজন্য এটা ৮৭টা গ্রামে ছড়িয়ে দিতে যে অর্থ ব্যয় হবে, এটা আমি সংগ্রহ করার চেষ্ঠা করছি। একটা প্রাইভেট মডেলে সরকারের কোন সহযোগীতা না নিয়ে যাতে করা যায়, সে চেষ্ঠায় আমি নিয়োজিত রয়েছি।

 

 

কাউয়াদিঘী হাওর রক্ষা আন্দোলন’এর আহবায়ক আ,স,ম সালেহ সোহল’এর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব এম খছরু চৌধুরী’র সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এমএ আহাদ, মৌলানা মুফজ্জল হোসেন মহিলা ডিগ্রি কলেজ’এর অধ্যক্ষ তোফায়েল আহমদ, যায়যায়দিনের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, আবেদ চৌধুরী’র গবেষনা কর্মকর্তা তাহমিদ আনাম চৌধুরী, কৃষি উদ্যেক্তা সায়মন রূম্পা, বাসদ নেতা বদরুল হোসেন, আলমগীর হোসেন, মোঃ মোকাম্মিল হক, মোঃ আবুল হাসনাত, বিপ্লব ধর প্রমূখ।

ডক্টর আবেদ চৌধুরী আরও বলেন, আমার আবিস্কারের এ পঞ্চব্রীহি বীজ মাঠে এসে গেছে। আমার নিজ এলাকা কুলাউড়া উপজেলা থেকে ছড়িয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যেটাকে রেডিয়েটিং এওয়ে’ বলছি, আমার এলাকা থেকে পাশের গ্রামে যাবে। পরবর্তীকালে এসব গ্রামের সংখ্যাগুলো আরও বেড়ে যাবে। বৃহত্তর কুলাউড়াকে টার্গেট করে আমরা কাজ করছি।

তিনি কিভাবে বীজকে পঞ্চব্রীহি’র ফর্মুলায় আনলেন এ প্রশ্নের জবাবে ড. আবেদ বলেন, অসংখ্য ধানের মধ্যে যে ধানগুলো কাটার পর বেড়ে উঠে বা ‘ট্রেট্রিলারিং’ হয়, যেটা ‘বান’ সেই ধরণের কয়েক’শ ধানকে আমরা সনাক্ত করেছি। তার পর একটাকে আরেকটার সাথে ক্রস করেছি। এটার মধ্যে আমাদের দেশীয় ধান রয়েছে। ‘হাই এল্ডিং ভেরাইটি’ রয়েছে। মাঠে লাগানো হাইব্রিড সেগুলো রয়েছে।

তিনি বলেন, সেগুলোর সাথে ক্রমাগত সংক্রয়ায়ন এবং ‘সিলেকশান’ যেটাকে বলে ‘ক্রসিং এন্ড সিলেকশান’, আমরা এগুলোকে ‘মাল্টিহারবাস’ বা পঞ্চব্রীহি করে দিয়েছি। পরিশেষে ধান, ডেরেস, বেগুন ও গমকে পঞ্চব্রীহি করতে পেরেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT