লন্ডন, বুধবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪২৩।। নোট বাতিল ঘোষণা দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের ভেতর সেই যে বিপক্ষদলের আলোচনার কুনজরে পড়েছিলেন আজো সুনজরে উঠে আসতে পারেননি। দুনিয়ার সকল কাজের যেমন এপিট ওপিট আছে তেমনি টাকার নোট বাতিল কাজেরও দু’পিট আছে। একপিটে যেমন দেশের জন্য মঙ্গল আছে অন্য পিটে তেমনি সমস্যাও আছে। খবর আছে যে হঠাৎ করে এই নোট বাতিল প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশী বহু ব্যবসায়ী সমস্যায় পড়েছেন। এই টাকার নোট বাতিলের পর থেকে প্রধানমন্ত্রী আর কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁদের উদ্যোগে আজ গোটা বিরোধী পক্ষ ঐক্যবদ্ধ ভাবে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখেছে আনন্দবাজার।
আনন্দবাজার আরো লিখেছে-“সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সময়ের একটি সীমাও দিয়েছিলেন। সেই সীমা শেষ হতেই মমতা দেশজুড়ে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে দিয়েছেন এবং বুধবার সকাল থেকে সংসদ চত্বরে ১৫টি বিরোধী দলের সাংসদরা সম্মিলিত বিক্ষোভ শুরু করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ক্রমশ মোদী সরকার বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন, জাতীয় রাজনীতির গত কয়েক দিনের গতিপ্রকৃতি দেখলেই তা স্পষ্ট। সেই জন্যই নরেন্দ্র মোদী এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক শিবির মনে করছে। কংগ্রেস সহ অন্য বিরোধী দলগুলি সংসদে বিক্ষোভ করলেও, মমতার মতো পথে নামেনি তারা। তাই সরকার জানে, মমতার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে তাঁকে শান্ত করতে পারলেই, বিরোধী পক্ষের আক্রমণের ঝাঁঝ অনেকটা কমে যাবে। শুধু তাই নয়, বিরোধী পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া গিয়েছে, এমন বার্তাও বিজেপি চারিয়ে দিতে সক্ষম হবে।”
তবে মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে আলাপে না বসায় বুঝাই যাচ্ছে যে অতো সহজে মোদী পাড় পাবেননা। এ অবস্থায়, মোদীর দল বিজেপি কি করে তার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে!