মানুষ শক্তির পূঁজারী। স্হানীয় একটি প্রবাদ আছে এমন, “জোড় যার মুল্লুক তার”। স্হানীয় হলেও এই প্রবাদটি থেকে অনুধাবন করা যায়
কত প্রাচীণ আমল থেকে এ চরম সত্যটি মানব আর প্রাণী জগতে কাজ করে আসছে। কিন্তু দুনিয়ার
বহু বিজ্ঞ মহাজন চরম এই সত্যটিকে কেনো জানি এক অজানা কারণে অস্বীকার করায় প্রয়াসী হয়েছেন। অথচ প্রতি নিয়ত আমরা প্রত্যক্ষ করছি ক্ষমতার এই দাপটকে ভয়ঙ্কর রূপে। সর্বশেষ বাংলাদেশের তনু হত্যা এই পৈশাচিক শক্তি মত্তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
কেন এই বর্বরতা? তনুর নির্মম হত্যাকান্ড যেখানে সংঘটিত হয়েছে সেই সেনানিবাস এলাকায় শিক্ষিত সুশীল মানুষ যে একেবারেই নেই তা তো বলা যায় না। সেনাকর্মীদের বিশাল একটি অংশ শুধু শিক্ষিতই নয় সুশিক্ষিত বটে। তাহলে কেনো আর কিভাবে এমন বর্বর পৈশাচিক ঘটনা ঘটতে পারে। প্রথমতঃ সেনানিবাস সকল দেশেই সাধারণের চেয়ে একটু বেশী মাত্রায় কড়া নজরদারীর মধ্যে থাকা নিরাপদ এলাকা। বিশেষ করে রাতের বেলা কঠোর প্রহরায় থাকার কথা যেখানে সেখানেই এমন অমানুষিক খুন, অবশ্যই অগ্রহনযোগ্য এবং কঠোর শাস্তির দাবী রাখে। বিশাল আকারের রচনা লিখার প্রয়োজন অবান্তর বরং শেষ কথা এটাই বলতে পারি যে তনু হত্যার ন্যায়নিষ্ঠ বিচার খুন সংঘটিত এলাকার সন্মান কিংবা ভাবমূর্তি যে ভাষায়ই বলি, বাড়াবে বৈ কমাবে না। বিশেষ ঐ এলাকার নিরাপত্ত্বা ও সুনাম অক্ষুন্ন থাকবে। সে কিংবা তারা যেই বা যারাই হয়না কেনো, ন্যায় বিচারের মধ্যদিয়ে খুনীর কঠিন দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি সেনা সদস্যদের বিষয়ে সাধারণ মানুষের ধারনা উপরেই থাকবে। অন্যতায় ভাবমূর্তী নিচে নেমে আসবেই।
-হারুনূর রশীদ