লন্ডন: সোমবার, ২৪শে পৌষ ১৪২৩।। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া যে গোপনে কলকাঠি নাড়ার কাজ চালিয়েছিল, সেবিষয়ে কোনও দ্বিধা নেই মার্কিন গোয়েন্দাকর্তাদের মনে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে স্পষ্ট দাবি করা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সুবিধা করে দিতে রাশিয়ার এই গোপন কর্মসূচি চলেছিল প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে। তবে এই রিপোর্ট সামনে আসা সত্ত্বেও নিজ অবস্থানে অনড় ট্রাম্প। এত কিছুর পরও রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার উষ্ণ সম্পর্কের পক্ষেই সওয়াল করছেন তিনি। বিতর্ক যতই হোক, রাশিয়া-সখ্য থেকে তিনি যে পিছু হটার বান্দা না, তা ফের স্পষ্ট করে দিলেন ট্রাম্প।
হ্যাকিং বিতর্ক ও তা নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্টের প্রেক্ষিতে গতকাল একঝাঁক ট্যুইট করেন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ট্রাম্প। সেখানে গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়ে তাঁর মূল্যায়ন, শুধুমাত্র ‘নির্বোধ বা বোকা’ লোকজনই এধরনের সরলীকরণ করতে পারে। ক্রেমলিনের ভূমিকা প্রসঙ্গে ওবামার প্রশাসন ও তাঁর গোয়েন্দাকুল যতই অভিযোগের আঙুল তুলুক না কেন, তাকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিতে নারাজ ট্রাম্প। বরং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও খোলামেলা করার পক্ষেই দাবি তুলছেন তিনি। ট্রাম্পের ট্যুইট, রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকাটা ভালো, মোটেও মন্দ কাজ নয়। ঘটনাচক্রে, গত শুক্রবারই গোয়েন্দাকর্তারা তাঁদের তদন্তের নির্যাস প্রেসিডেন্ট-ইলেক্টের সামনে তুলে ধরেন। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে তাঁকে গোয়েন্দারা জানান, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় ক্রেমলিন সুস্পষ্টভাবে নাক গলিয়েছিল। হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ট্রাম্পের পক্ষেই যাবতীয় বাজি রেখেছিল মস্কো। ঘটনাচক্রে ট্রাম্প নিজে নির্বাচনের সময় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ব্যাপক প্রশংসা করেছিলেন। এখন ওবামা প্রশাসনের দাবি, তদন্তের রিপোর্টে ঝুলি থেকে বিড়াল বেড়িয়ে এসেছে। ট্রাম্পকে জয়ী করতে রাশিয়ার এই গোপন ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও মচকাতে চাইছেন না ট্রাম্প। তাঁর দাবি, হ্যাকিং-কাণ্ডের কোনও প্রভাব নির্বাচনের ফলাফলে পড়েনি। এর কোনও প্রভাব ভোটিং মেশিনের উপরও ছিল না।(এপি’র খবর বর্তমান থেকে)