মৌলভীবাজার, বড়লেখা পৌরসভার অর্ধকোটি টাকার নয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলেও কাজ শুরু করেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের এ নয়টি প্রল্পের কাজ সমাপ্তের সর্বশেষ তারিখ ছিল গত ২ মার্চ।
প্রকল্পগুলো হচ্ছে বড়লেখা হাজীগঞ্জ বাজারের স্টেশন রাস্তা উন্নয়ন, বাঁশতলা সিএন্ডবি হতে পচাই মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত সিসিকরণ, হাটবন্দ কটির বাসা হতে নাজমার বাসা পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ, ফকির শাহের মোকাম রাস্তা সিসি দিয়ে উন্নয়ন, মুড়িরগুল আব্দুল মুতলিব, পানিধার অরিরাম করের বাড়ির সামনের রাস্তা সিসিকরণ ও তিনটি স্থানে কালভার্ট নির্মাণ, মহুবন্দ আজিমগঞ্জি বাসা হতে মৌলানা আব্দুল মুতলিব’র বাসা পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ, আহমদপুর রফিক হাজী ও এডিসি জনাব হারুন’র বাড়ির সামনের রাস্তায় সিসিকরণ।
বড়লেখা পৌরসভা ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকল্পের ১১টি কাজের টেন্ডার গ্রহণ করা হয় গত বছরের ৯ জুন। এরপর নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে দুটি কাজ কোনো মতে শেষ হলেও বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চরম গাফিলতির কারণে বাকি নয়টি কাজ দেখেনি আলোর মুখ। গুরুত্বপূর্ণ এ কাজগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) মোতাবেক ঠিকাদারদের কাজ শুরু করার কথা চলতি বছরের ২ জানুয়ারি এবং সমাপ্তের তারিখ বেঁধে দেওয়া হয় ২ মার্চ। নিয়ম অনুয়ায়ী টেন্ডার গ্রহণের পর তার বৈধতার মেয়াদ ১২০ দিন। কিন্তু প্রায় নয় মাস অতিবাহিত হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ সম্পন্ন তো দূরের কথা, শুরুই করেনি।
বাঁশতলা রাস্তা উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মখলিছুর রহমান বলেন, কাজের অনুমতি পেয়েছি মাত্র দেড় মাস আগে। কাজটি দ্রুত শুরু করবো। ফকির শাহের মোকাম রাস্তা উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মহিউদ্দিন আহমদ গুলজার বলেন, টেন্ডার হওয়ার পর মাঝখানে ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন না। তাই অফিসিয়াল কিছু জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতে পারিনি।
বড়লেখা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী নূরুল আলম বলেন, কাজগুলো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ শেষ করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি দ্রুত কাজ শেষ না করা হয় তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর) অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -ইত্তেফাক থেকে