লন্ডন: একদিকে অদ্ভুত আর অশ্রুত। আবার আমাদের কাছে কিছুটা লোমহর্ষক মনে হলেও প্রিয়জনকে নিয়ে মানবিক আবেগের এক চমৎকার খবর দিয়েছে আনন্দবাজার। সংবাদ সংস্থার খবরটি প্রকাশ করতে গিয়ে আনন্দবাজার লিখেছে খুব আবেগাপ্লুত হয়ে। লিখেছে- প্রিয়জন বিয়োগ বোধ হয় জীবনের সব থেকে হৃদয়বিদারক ঘটনা। কাছের মানুষদের মৃত্যু আমরা কেউই মেনে নিতে পারি না। তারা আমাদের পাশে আর থাকবে না। পাবো না তাদের হাতের স্নেহপূর্ণ স্পর্শ। কঠিন হলেও এই চরম সত্যটা মেনে নিতেই হয়। তবে কোথাও কোথাও বোধহয় মানুষ সত্যিই অতীতকে আঁকড়ে বাঁচতেই ভালবাসে। এমনই এক জায়গা ইন্দোনেশিয়ার তোরাজা গ্রাম। এখানে মানুষ প্রিয়জনদের স্পর্শ পেতে তাঁদের কবর থেকেও তুলে আনতে পারেন। অন্য ভাবে বললে, এ দেশের মানুষের মরেও শান্তি নেই।
হ্যাঁ। আক্ষরিক অর্থেই কবর থেকে তুলে আনা হয় তাঁদের। এর পরে স্নান করিয়ে জম্বির পোশাকে সুন্দর করে সাজানো হয়। শিশুদের সাজিয়ে পাশে শুইয়ে দেওয়া হয় তার প্রিয় খেলনা। এই রীতিতে বলা হয় মা’নেনে। অর্থাত্ মৃতদেহ পরিষ্কার করার উত্সব।
কিছুটা প্রাচীন বিশ্বাস, আর কিছুটা স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে থাকার তাগিদই এমন এক কাজ করতে উত্সাহ দেয় তাঁদের। তোরাজান গ্রামের মানুষের বিশ্বাস, মৃত্যুর পর প্রত্যেক মানুষের আত্মা ঘরে ফিরে আসে। তাই যাত্রাপথে বা গ্রাম থেকে দূরে কারও মৃত্যু হলে মৃতদের তাঁদের সঙ্গে ‘হাঁটিয়ে’ গ্রামে ফিরিয়ে আনতেন আত্মীয়রা। রীতি প্রাচীন হলেও এই কাজ কতটা আইনসঙ্গত তা জানা নেই। তোরাজা গ্রাম ভাবতেও চায় না সেই কথা।
তাই যত দিন কোনও বাধা না আসে তত দিন নিজেদের বিশ্বাসেই বাঁচতে চায় এই গ্রাম।