সম্মানীয়কে সম্মান জানানো খুব কঠিন কাজ কী? না – ব্যক্তি পর্যায়ে অন্তত মোটেই কঠিন নয়। (অবশ্য তা আমরা প্রায় ভুলতে বসেছি)। কিন্তু সেই একই কাজ যখন সমষ্টিক পর্যায়ে করতে হয় তখন তা বেশ কঠিন, জটিল, মনস্তাত্ত্বিক, রাগ, বিরাগের ব্যাপার স্যাপার এসে তা ক্লান্তিকর ও শ্রমসাধ্য করে তোলে। সুন্দর মলাটের বই খানা হাত পেয়ে বইটির ভূমিকা পাঠ করে আমি আন্দোলিত, আপ্লুত। গ্রন্থটির সম্পাদকদ্বয় স্বপন নাথ ও আকমল হোসেন নিপু সহ এই মহতী উদ্যোগটিকে বাস্তবে রূপ দিতে যারা জড়িত তাদের সকলকে প্রান ঢালা শুভেচ্ছা জানাই। লিখা দিয়ে যারা গ্রন্থটির শ্রীবৃদ্ধি করেছেন তাঁদেরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। এবার সম্মানিত মানুষটি সম্পর্কে আমার ক’টি কথাঃ- মো আব্দুল খালিক, অধ্যাপক, অধ্যক্ষ যে নামেই ডাকা হোক না কেন আদতে তিনি অামাদের খালিক ভাই একজন শিক্ষক শুধুই শিক্ষক। কোন স্কুল কলেজের সীমানায় গন্ডিবদ্ধ নন তিনি – তিনি আগাগোড়া একজন শিক্ষক, সীমিত গন্ডিতে হলেও তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। অকৃত্রিম এক সাদা মনের মানুষ ত্যাগ ও তিতিক্ষার সীমা অতিক্রম করে চাকরী থেকে অবসর গ্রহনের পরে আজও তিনি সমান কর্ম চঞ্চল। শিক্ষা সংস্কৃতি বিষয়ক কর্ম কান্ডে তিনি সদাই অগ্রনী, প্রগতির পক্ষে যে কর্ম তাতে তিনি নিরলস, বয়স সেখানে বাধা হয়ে দাড়াতে পারেনা। তার অভিভাবকত্বে ও সম্পাদনায় “ফসল” নামে যে সংকলনটি প্রকাশিত হয় তা গুনে ও মানে একটি প্রথম শ্রেনীর সাহিত্য সংকলন হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। অামি নিয়মিত সংগ্রহ করি পাঠ করি ঋদ্ধ হই। এদিকে মৌলবীবাজার শহরকে নান্দনিক শহরের রূপ দিতে ফুল গাছ লাগানোর ও তার রক্ষনা বেক্ষনের এক নন্দন বিলাসী কর্মযজ্ঞ চলছে। শহরের গুনী ‘মেয়র ফজলুর রহমান’ এ বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে চলেছেন অন্য দিকে ব্যাক্তি উদ্যোগে ভাই ও বন্ধু প্রবাসী ‘নূরুর রহমান’ কয়েক জন সমমনা বন্ধু নিয়ে এ কাজটি করে চলেছেন ২/৩ বছর হল।( করোনা কালে কাজ মন্থর হয়)। এই কর্ম কান্ডে প্রথম সারির কর্মি খালিক ভাই। গাছ লাগানোর পরে কোনটি বাঁচল কোনটি মরল তা লক্ষ করার মত মানুষ অাবার কম। নুরুর রহমান সব সময় দেশে থাকেন না আবার তা একার পক্ষে সম্ভবও নয়। তখন খালিক ভাইকে দেখেছি সুযোগ পেলেই কাউকে সাথে নিয়ে অথবা একা হেটে হেটে গাছ গুলোর কাছে যাচ্ছেন সাধ্য মত পরিচর্যা করছেন। তাঁর সাথে আমিও হেটেছি কয়েক দিন তাই এ বিষয়টা আমার জানা হয়েছে। ইদানিং ঐতিহ্যবাহী মৌলবীবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর তত্বাবধানের দায়িত্ব খালিক ভাইকে দেয়া হয়েছে। বহদিন পর অনাথ লাইব্রেরীটি যোগ্য অভিভাবক পেল ঠিক অভিভাবক নয় যোগ্য মালি পেল বলা যায়, যার শুশ্রুষায় পাঠাগারটি তার হারানো ঔজ্জ্বল্য ফিরে পাবে বলে বিশ্বাস করাই যায়। মৌলবীবাজারে নিয়মিত না থাকার দরূন খালিক ভাইয়ের সাথে কর্মময় জীবনে খুব কমই দেখা হয়েছে এটা অমার দুর্ভাগ্য। শেষ বেলায় দেখা হল হৃদ্যতা বাড়ল তিনি আমাকে বন্ধু জ্ঞান করেন দেখা না হলে এই সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হতাম। প্রগতির পথে হাঁটা মানুষটি দীর্ঘ কর্মময় জীবন লাভ করুন এই কামনা করি তাঁর দ্বীপ শিখা থেকে জন্ম নিক আরো আরোও “খালিক”। |