মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্বামী রশিদ মিয়া গলায় চেইন দিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বাবা। গত বুধবার(৩১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের টিলাগড় গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এটি পরিকল্পিত হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক জল্পনা কল্পনা চলছে। তবে পুলিশ বলছে ময়না তদন্ত রিপোর্টের পর বুঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টিলাগড় গ্রামের হত্যা সংশ্লিষ্ট বাড়িতে রশিদ মিয়ার স্ত্রী মুন্নি বেগম (২৪) নিহত হয়েছেন। নিহত মুন্নি বেগমের দুই শিশু সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর পর তাঁর গলায় কালো দাগ রয়েছে। তবে মুন্নি বেগমের পিতা আব্দুল গফুর ও চাচা জুনাব আলী বলেন, রশিদ মিয়া মুন্নি বেগমকে নানা সময়ে নির্যাতন করতো। নির্যাতন করে গলায় চেইন পেছিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তার স্বামী। এঘটনায় থানায় হত্যার অভিযোগ দিলেও পুলিশ কিভাবে অভিযোগ নিয়েছে আমাদের জানা নেই। লাশ নিয়ে আমরা ব্যস্ততায় আছি। এ ঘটনায় নিহত মুন্নি বেগম এর স্বামী রশিদ মিয়া পলাতক রয়েছে।
অভিযোগ বিষয়ে রশিদ মিয়ার ফুফু আছমা বেগম বলেন, আসলে মুন্নির শরীরে রক্ত শূন্যতা রয়েছে। এ কারণেও তার মৃত্যু হতে পারে। দেড় মাস আগে মুন্নি বেগমের সিজারে একটা সন্তান জন্মগ্রহন করে। তবে কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তার প্রকৃত কারন বুঝা যায়নি।
এই বিষয় পতনঊষার ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। বিষয়টি পুলিশকে জানানোর জন্য বলেছি।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানা মৃতদেহ এনে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। পুলিশ সূত্র জানায়, ময়না তদন্ত বিবরণ না আসা পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়। ময়না তদন্তের বিবরণ পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আপাতত এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।