>বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া গ্রীন লাইন-২-এর সাথে মাসুম-মামুন নামের একটি কার্গোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়লা বোঝাই কার্গোটি ডুবে গেছে। গ্রীন লাইনের আংশিক নিমজ্জিত হয়। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে সদর উপজেলার লামছড়ি এলাকা সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গ্রীনলাইনের যাত্রী রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ জানান, বরিশাল থেকে বিকাল ৩টায় চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় গ্রীনলাইন-২ নামের যাত্রীবাহী ওয়াটার ওয়েজ। বরিশাল নৌ-বন্দর ত্যাগ করার প্রায় ঘণ্টা খানেক পর লামছড়ি মোড় ঘোরার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কার্গোর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। কার্গোটি সাথে সাথেই ডুবে যায়। গ্রীনলাইনের তলা ফেটে গেলে যাত্রীরা চিত্কার শুরু করেন। গ্রীন লাইনের চালক ততক্ষণে ওয়াটার বাসটি নদীর তীরে উঠিয়ে দেন। সেখানে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। গ্রীন লাইনের বেশ কয়েক জন যাত্রী ও কার্গোর স্টাফ আহত হলেও কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
কাউনিয়া থানার ওসি সলিম রেজা জানান, গ্রীনলাইনের যাত্রীদের উদ্ধার করার জন্য অকুস্থলে সুন্দরবন লঞ্চ পাঠানো হয়। আহতদের সড়ক পথেই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান।
নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোতালেব হোসেন জানান, কার্গোটি ৫২৫ টন কয়লা নিয়ে ঢাকা থেকে খুলনার নওয়াপাড়া যাচ্ছিল।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক ফারুক সিকদার জানান, যাত্রীদের সবাইকেই নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু জানান, ডুবে যাওয়া কার্গো উদ্ধারে সংস্থার উদ্ধারকারী জলযান নির্ভীক পাঠানো হবে।
বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও লঞ্চ মালিক সাইদুর রহমান রিন্টু দুর্ঘটনাস্থল থেকে জানান, যাত্রীদের তার মালিকানাধীন সুন্দরবন-১২ লঞ্চের মাধ্যমে পুনরায় লঞ্চ টার্মিনালে নিয়ে আসা হয়েছে। -ইত্তেফাক