“মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত সিলেট ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া প্রবাসীরা ঘোষনা দিয়ে দলবেঁধে মারামারি করেন এমন কি প্রবাসে এরা ছিন্তাই চুরি ডাকাতিও করে। এতে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে।” উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের, ব্রাহ্মনবাড়িয়া ও সিলেটীদের নিয়ে তার সাম্প্রতিক কুরুচিপূর্ন উপরোক্ত মন্তব্যের কারণে প্রবাসী বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সিলেট ও ব্রাহ্মনবাড়িয়াবাসীর মাঝে নিদারুণ ক্ষোভ ও অসন্তোষ ফোঁশে উঠেছে। এমন ভাষা ব্যক্ত করে আমাদের হাতে একটি ইমেইল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এসে পৌঁচেছে।
বিজ্ঞপ্তিখানা থেকে জানা যায়, বিগত ৪ জুলাই, শুক্রবার ২০২৫, লন্ডন সময় সন্ধ্যা ছয়টায় পূর্বলন্ডনের আলতাব আলী পার্কে “আমরা সিলেটবাসী” আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রতিবাদকারীরা তাদের বক্তব্যে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল কর্তৃক দু’টি জেলার মানুষকে নিয়ে এমন কুরুচীপূর্ণ মন্তব্যের জন্য সিলেট ও ব্রাম্মনবাড়িয়াবাসীর কাছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে বলে জোর দাবী জানান। অন্যতায় এর পরিনতি ভাল হবেনা বলে তারা তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে অসৎ ও মিথ্যুক উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে তারা আসিফ নজরুলকে উপদেষ্টা পদ থেকে বহিস্কার করার দাবী জানান। তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আসিফ নজরুলের বিচার দাবী করেন এবং তাকে এখনই গ্রেফতারের দাবী জানান।
বক্তারা আসিফ নজরুলকে একজন চরিত্রহীন আখ্যায়িত করে লন্ডনে অধ্যয়নকালে তার কিছু দুশ্চরিত্র বিষয়ক ঘটনার উল্লেখ করে বলেন যে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল লণ্ডনের ভিক্টোরিয়া পার্কে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। আসিফ নজরুলের প্রথম বিয়ের কথা উত্থাপন করে তারা বলেন- “সে ছিল অন্য এক জনের ন্ত্রী, পরবর্তিতে এই বিয়ে ভেঙ্গেযায়। দ্বিতীয় বিয়ে করে অভিনেত্রী রোকয়া প্রাচীকে সে সম্পর্কও ঠিকে নাই। এর পর বিয়ে করে তার মেয়ের বয়সী একজনকে সেও অন্য আরেক জনের ন্ত্রী।” এজাতীয় মানুষরা উপদেষ্টা পরিষদে থাকতে পারেনা।
প্রতিবাদকারীরা, উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের ব্যক্তিচরিত্রের উপর কঠাক্ষ করে আরো বলেন, এই উপদেষ্টা একের পর এক মিথ্যাচার করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছেন। এর আগেও তিনি একটি টিভি টকশোতে বলেছিলেন বাংলাদেশে ২৬ লক্ষ অবৈধ ভারতীয় রয়েছে। এই অবৈধ ভারতীয়দের কারনে বাংলাদেশের মানুষ চাকুরী পাচ্ছেনা। তার এহেন মিথ্যা মন্তব্যে দেশের অভ্যন্তরে মাইনরিটি হিন্দু সম্প্রদায় একটি উগ্রগোষ্টীর দ্বারা বাব বার নিগৃহীত হয়েই চলেছে। আসিফ নজরুল এর সত্যতা প্রমাণ করতে পারেননি। শুধুযে মাইনরিটি সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তা নয়। প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক নষ্টের পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।
এতে করে দেখা যাচ্ছে প্রায়ই ভারত থেকে অবৈধ বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এযাবত প্রায় কুড়ি হাজার অবৈধ বাংলাদেশীকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। এর অধিকাংশই কুমিল্লা ও চাপাইনবাবগঞ্জ, নীলফামারী ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের মানুষ যারা কয়েক বছর পূর্বে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। এদের কেউই হিন্দু নয় সকলেই মুসলমান এবং দরিদ্র।
বক্তাগন তাদের বক্তব্যে আসিফ নজরুলের এই মন্তব্যের তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ করেন সেই সাথে বাংলাদেশে কোন অবৈধ ভারতীয় যদি থাকে তা’হলে তাদের জনসমক্ষে হাজির করার দাবী করেন অন্যতায় তাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে সরকারের কাছে দাবী জানান। সেই সাথে সরকারের দায়িত্বপূর্ন উপদেষ্টা পদথেকেও তাকে পদত্যাগ করার দাবী জানান।
যুবনেতা জামাল আহমদ খানের সভাপতিত্বে ও ড. আনিছুর রহমান আনিছের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আমরা সিলেটবাসীর উপদেষ্টা আব্দুল আহাদ চৌধুরী, সাংবাদিক জোবায়ের আহমদ, সাংবাদিক কামরুল আই রাসেল, যুবনেতা খালেদ আহমদ শাহিন, আব্দূল জলিল চৌধুরী, আহমদ আলী, শাহ রহমান, আব্দুল বাছির প্রমুখ।(প্রেস রিলিজ লন্ডন)( আনসার আহমেদ উল্লাহ ৫জুলাই ২০২৫।)