খারাপ কাজে লিপ্ত না হওয়ায় মহিলাকে জীবনের হুমকি
তমা আক্তার লিপিদের জীবন কি
অশ্লীল জুয়েলদের হাত থেকে মুক্তি পাবে না?
খারাপ কাজে লিপ্ত না হওয়ায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার নইনারপার জালালপুর গ্রামে এক মহিলাকে হুমকি ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ২ জনকে অভিযুক্ত করে কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮ জানুয়ারি আদমপুর বাজারের একটি দোকানে। তবে অভিযুক্ত জুয়েল আহমদ অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।
নইনারপার জালালপুর গ্রামের মৃত সুমন মিয়ার স্ত্রী তমা আক্তার লিপি লিখিত অভিযোগে বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছি। ছেলে একটি চায়ের দোকানে কাজ করে এবং নিজে শাড়ি বুননের কাজ করে কোনমতে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। স্বামীর মৃত্যুর পর জালালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে জুয়েল আহমদ(৩৭) খারাপ কাজে লিপ্ত হওয়ার জন্য আমাকে প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এমনকি আমার বাড়িতে এসে আমার সাথে জোরপূর্বক খারাপ কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করে।
সম্প্রতি আমি আদমপুর বাজারের হক মার্কেটের মোবাইল ব্যবসায়ী নাজিম মিয়ার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি পুরাতন মোবাইল ফোন ক্রয় করি। মোবাইল কিনে বাড়ি যাওয়ার পর সমস্যা দেখা দিলে আবার ওই দোকানে গিয়ে নাজিম মিয়া মোবাইল ফোন রেখে বলে চার, পাঁচ দিন পর ২৮ জানুয়ারী টাকা ফেরত দিবে। ২৮ জানুয়ারি আমার ছেলেকে নিয়ে দোকানে টাকা আনতে গেলে দোকানদার নাজিম মিয়া(৩০) আমাকে টাকা দিবে না বলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে নাজিম দোকানে জুয়েল আহমদকে ডেকে আনে। জুয়েল আহমদ দোকানে এসে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে এবং আমার ছেলের হাতে থাকা ৫শ’ টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। পরে সে নাজিমকে বলে আমার পাওনা টাকা তার কাছে দেয়ার জন্য। জুয়েল হুমকি দিয়ে বলে সে আমার বসতঘরে গিয়ে দেখা করবে প্রয়োজনে আমাকে হত্যা করে আমার ছবি বাজারে ঝুলিয়ে রাখবে। বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে অবহিত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেই।
অভিযোগ বিষয়ে জুয়েল আহমদ বলেন, ওই মহিলার চরিত্র ভালো নয়। মার্কেটে মোবাইল কেনাবেচা নিয়ে বিচার করে মহিলাকে এখানে আসতে নিষেধ করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইফতেখার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমার অফিসারকে তদন্তে দিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।